শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ডাবল লাইন না হলে সিডিউল বিপর্যয় বন্ধ হবে না

কমলাপুরে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শনে রেলমন্ত্রী

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এখন এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলছে, ডাবল লাইন না হওয়া পর্যন্ত ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় বন্ধ হবে না। গতকাল সোমবার কমলাপুর রেল স্টেশনে ঈদুল আজহার অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ভোগান্তি কমাতে এবারও ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগের টিকিট কমলাপুর থেকে, বিমানবন্দর থেকে নোয়াখালী ও চট্টগ্রামেরসহ সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট, তেজগাঁও থেকে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী ট্রেনের টিকিট, বনানী থেকে নেত্রকোনাগামী ট্রেনের টিকিট এবং পুরাতন ফুলবাড়ীয়া স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে সিলেট ও কিশোরগঞ্জের টিকিট। রেলমন্ত্রী বলেন, গতবার অগ্রিম টিকিট বিক্রির পরিস্থিতি একটু এলোমেলো ছিল। এবার পরিবেশ দেখে উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বাকিটা আপনাদের বিবেচনা। আগামী ১২ আগস্ট সম্ভাব্য ঈদুল আজহার তারিখ ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এখানে র‌্যাব, পুলিশ ও রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীসহ সবাই একসঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

গতবারের মতো এবারও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না যাত্রীদের এ অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ৫ লাখ লোক যদি একসঙ্গে টিকিটের জন্য অ্যাপসে হিট করে তাহলে টিকিট দেয়া সম্ভব নয়। কারণ আমরা অ্যাপসের টিকিট দিচ্ছি ১০ হাজার। এর মানে আমি চার লাখ ৯০ হাজার লোককে টিকিট দিতে পারছি না। কাজেই তাদের ভয়েস বেশি হবে। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যা আছে আমরা তাই দিচ্ছি।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এখন থেকে আন্তঃনগর, মেইল সব মিলিয়ে ৫৯ হাজার ৬৭৭ টিকিট একদিনের জন্য যাত্রীদের কাছে বিক্রি করা হবে। আজকে ১০ হাজার ৭৭৪টি টিকিট মোবাইল অ্যাপস ও ই-সেবার মাধ্যমে বিক্রি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত অ্যাপসে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৪, আর ই-সেবার মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৭৮৯টি টিকিট। টিকিট অবিক্রীত রয়েছে তিন হাজার ৩৫১টি। মোবাইল অ্যাপস ও ই-সেবার মাধ্যমে মোট সাত হাজার ৪৬৩টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এ সময় কাউন্টারে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৩৭টি টিকিট।
পরিদর্শনকালে রেলমন্ত্রী ঘুরে ঘুরে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম দেখেন এবং একাধিক যাত্রীর সাথে কথা বলেন। যাত্রীরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সিডিউল বিপর্যয় বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় যাত্রী ওঠা-নামায় সময় বেশি লাগায় ট্রেন বিলম্ব হয়। এছাড়া একই লাইনে ট্রেন চলায় অন্য ট্রেনকে সাইড দিতে গিয়ে বেশি সময় লাগে। কাজেই ডাবল রেললাইন তৈরি না হওয়া পর্যন্ত শিডিউল পুরোপুরি রক্ষা করা কঠিন। ঈদে সিডিউল রক্ষায় রেলপথ মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন মো: মিয়াজাহানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রামে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
এদিকে চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম স্টেশনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে অ্যাপসহ মোট ১২ হাজার টিকিট দেয়ার কথা থাকলেও স্টেশনে অনেকে টিকিট পাননি। অ্যাপসের গোলযোগের কারণেও মিলেনি টিকিট। তবে স্টেশন ম্যানেজার দাবি করেন, ঝামেলা ছাড়াই টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রথম দিনে বিক্রি হয় ৭ আগস্টের টিকিট।

ভোর ৬টায় অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কাউন্টার থেকে বিক্রি শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। ১২ হাজার টিকিটের মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ হাজার ১৮টি, বাকি ৪ হাজার ৯৭৮টি টিকিট অন্যান্য ট্রেনের টিকিট। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিন অ্যাপের ৫০ ভাগসহ ১২ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ফিরতি টিকিট ৫ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত দেয়া হবে। আজ মঙ্গলবার ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের ও ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে টিকিট প্রত্যাশীরা টিকিট নিয়েছেন।

চট্টগ্রামে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রাম স্টেশনে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি গতকাল সোমবার শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে অ্যাপসহ মোট ১২ হাজার টিকিট দেয়ার কথা থাকলেও স্টেশনে অনেকে টিকিট পাননি। অ্যাপসের গোলযোগের কারণেও মিলেনি টিকিট। তবে স্টেশন ম্যানেজার দাবি করেন, ঝামেলা ছাড়াই টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রথম দিনে বিক্রি হয় ৭ আগস্টের টিকিট।

ভোর ৬টায় অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। কাউন্টার থেকে বিক্রি শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। ১২ হাজার টিকিটের মধ্যে আন্তঃনগর ট্রেনের ৭ হাজার ১৮টি, বাকি ৪ হাজার ৯৭৮টি টিকিট অন্যান্য ট্রেনের টিকিট। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রতিদিন অ্যাপের ৫০ ভাগসহ ১২ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। ফিরতি টিকিট ৫ থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত দেয়া হবে। আজ মঙ্গলবার ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের ও ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে টিকিট প্রত্যাশীরা টিকিট নিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন