বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে কমলাপুরে জনসমুদ্র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৯, ১১:১১ এএম | আপডেট : ১১:৫২ এএম, ৩০ জুলাই, ২০১৯

ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের জন্য কমলাপুর এখন জনসমুদ্র। ৮ আগস্টের টিকিটের জন্য আজ মঙ্গলকবার হাজার হাজার যাত্রী ভিড় করেছেন। সকাল ৯টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। অগ্রিম টিকিটের জন্য রীতিমতো যুদ্ধে নেমেছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
টিকিট পেতে গতকাল সোমবার রাত থেকে অপেক্ষমান টিকিট প্রত্যাশীদের চাপে স্টেশনে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হাজার হাজার মানুষ দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা করছেন কাঙ্খিত টিকিটের জন্য। টিকিট কাউন্টারের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাইরের রাস্তার কাছাকাছি চলে গেছে লাইন। টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড়ে স্টেশন এলাকা যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন শাজাহান। দিনাজপুরের টিকিটের জন্য সোমবার রাত ১০টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। আজ সকাল সাড়ে ৯টায়ও টিকিট মেলেনি। তিনি বলেন, স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাব। বাসে যানজটের কারণে অনেক সমস্যা হয়। ট্রেনে নিরাপদে যাওয়া যায়। তাই টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। আশা করছি টিকিট পাব।

কাউন্টার থেকে ধীর গতিতে টিকিট দিচ্ছে অভিযোগ করে শাজাহান বলেন, লাইন যেন আগায় না। আধাঘণ্টা এক জায়গায়ই দাঁড়িয়ে আছি।
গতকাল সোমবার থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আর সকাল ছয়টা থেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হয়।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ ৩০ জুলাই ৮ আগস্টের, ৩১ জুলাই ৯ আগস্টের, ১ আগস্ট ১০ আগস্টের এবং ২ আগস্ট ১১ আগস্টের অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে।
ঈদুল ফিতরের মতো এবারো রাজধানী ঢাকার পাঁচটি স্থান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। স্থানগুলো হচ্ছে কমলাপুর স্টেশন, বিমানবন্দর স্টেশন, বনানী স্টেশন, তেজগাঁও স্টেশন এবং ফুলবাড়িয়া স্টেশন।
প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করা হবে। আর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ছয়টা থেকে।

গতকাল টিকিট বিক্রির প্রথমদিন কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনে এসে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, গতবার টিকিট বিক্রির ক্ষেত্র এলোমেলো ছিল, এবার পরিবেশ দেখে উন্নতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বাকিটা আপনাদের বিবেচনা।

তিনি বলেন, আগামী ১২ আগস্ট সম্ভব্য ঈদুল আজহার তারিখ ধরে আমরা ট্রেনের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এখানে র‌্যাব, পুলিশ ও রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীসহ সবাই একসঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন