মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সীমিত ও পরিকল্পিত মানুষই দেশের সম্পদ

সরদার সিরাজ | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কবির সেই প্রখ্যাত কবিতা- ‘ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই মোর ছোট্ট তরীতে’, সেই অবস্থা হয়েছে বাংলাদেশের। ছোট্ট একটি দেশ, তবুও লোকে লোকারণ্য। বিবিএস’র তথ্য মতে, ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালে প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ১৬.৩৬ কোটি। যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ১৭ কোটি হয়েছে। আরও বেশি বলে সাধারণ মানুষের অভিমত। তাই জনঘনত্বের দিক দিয়ে বিশ্বে সর্বাধিক বাংলাদেশ! ফলে ঠাঁই নেই কোথাও। যেখানেই যাবেন, সেখানেই মানুষ আর মানুষ। যেমন: বাসা-বাড়ী, হাট-বাজার, শিক্ষাঙ্গন, উপাসনালয়, হোটেল, হাসপাতাল, রাস্তা-ঘাট, যানবাহন তথা সর্বত্রই। তন্মধ্যে শহরাঞ্চলে বেশি। এই বাড়তি জনসংখ্যা কর্মসংস্থান, ভূমি, কৃষি, আবাসন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তবুও লোকসংখ্যা বেড়েই চলেছে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশের বেশি। জনসংখ্যার এই বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ এ দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে ২০ কোটির অধিক। জাতিসংঘ ২০১৫ সালের জনসংখ্যা বিষয়ক প্রজেকশন বলেছে, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা আগামী ২০৫০ সালে ২০২ মিলিয়ন হবে। অর্থাৎ ২০ কোটি ২০ লাখে দাঁড়াবে’। তখন দেশের অবস্থা কী হবে? নিশ্চয় ভয়াবহ। দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘ছেলে হোক মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট’ সরকারী নীতি গ্রহণ করা হয়েছে কয়েক বছর আগে। এছাড়া, প্রতি বছর ১১ জুলাই বিশ্ব জনংসখ্যা দিবস পালন করা হয় ব্যাপক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে। তবুও দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহতই রয়েছে। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের ‘স্টেট অব ওয়ার্ল্ড পপুলেশন-২০১৯’ মতে, ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ৬৩.৪ মিলিয়ন, ১৯৯৪ সালে তা বেড়ে হয় ১১৬.২ মিলিয়ন এবং চলতি বছরে তা হয় ১৬৮.১ মিলিয়ন। এ ক্ষেত্রে প্রথম ২৫ বছরে আর পরের ২৫ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে সমান ৫২ মিলিয়ন করে। জন্মহার ১৯৬৯ সালে ছিল ৬.৯, যা ১৯৯৪ সালে হয় ৩.৮ এবং বর্তমানে তা ২-এ দাঁড়িয়েছে। সেখানেও আগের ২৫ বছরের তুলনায় কিছুটা কম। এমনকি জন্ম নিরোধক আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার ১৯৬৯-১৯৯৪ পর্যন্ত বেড়েছিল ৩৪%, অন্যদিকে তা চলতি বছর পর্যন্ত বেড়েছে ২০%। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, প্রতি মিনিটে বিশ্বে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। আর বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে ৯টি শিশু। বর্তমানে জন্ম নেওয়া ১০০ শিশুর মধ্যে ৯৭ জন জন্মগ্রহণ করে তৃতীয় বিশ্বের তথা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। যে দেশগুলো এমনিতেই অধিক জনসংখ্যার দেশ। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি একটি সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম জনবহুল দেশ। ২০৫০ সালে বাংলাদেশ এসে ষষ্ঠ স্থানে দাঁড়াবে’। অন্য এক তথ্য মতে, ‘২০২২ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২২ কোটিতে’। অন্যদিকে, গত ১১ জুলাই বিবিসি›তে প্রকাশ, ‘বাংলাদেশে সক্ষম দম্পতিদের মধ্যে ৬৩% জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে। যা অন্যতম হল- খাবার বড়ি, কপার টি, ইনজেকশন, লাইগেশন, চামড়ার নিচে বসিয়ে দেয়া জন্মনিয়ন্ত্রণ ক্যাপসুল, কনডম ও ভ্যাসেকটমি। খাবার বড়ির ব্যবহার সবগুলো পদ্ধতির মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫%, আর ইনজেকশন ১১%। পুরুষদের জন্য দুটো পদ্ধতি রয়েছে, তন্মধ্যে কনডমের ব্যবহার ৭% ও ভ্যাসেকটমির হার ১%। এসব হারই বলে দেয় পরিবার পরিকল্পনায় পুরুষদের অংশগ্রহণ কতটা কম’। স্মরণীয় যে, দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ যেটুকু হয়েছে, তাতে বেশি অবদান রয়েছে কর্মজীবী মানুষের। তার বাইরে, বিশেষ করে অশিক্ষিত ও গরীব মানুষের সন্তান গ্রহণের হার প্রায় আগের মতোই আছে।

স্মরণীয় যে, চীন আজ বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি। সেটা আর্থিক ও সামরিক উভয় দিক দিয়েই। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণকে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষিত ও কাজে লাগানোর মাধ্যমে। চীন তার বিপ্লবোত্তর ‘এক সন্তান’ নীতি গ্রহণ করে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করেছে। ইউএনএফপিএ’র তথ্য মতে, ২০১০-২০১৯ সাল পর্যন্ত চীনে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৫%। ফলে দেশটির জনংসখ্যা এখন ১৪২ কোটিতে সীমিত আছে। কিন্তু জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা না হলে এতদিনে দেশটির জনসংখ্যা তিন-চারগুণ বৃদ্ধি পেত। তাহলে কি চীনের উন্নতি বর্তমান অবস্থায় উপনীত হতে পারতো? পারতো না। অবশ্য চীন দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করেছে কিছুদিন আগে। এটাও করা হয়েছে দেশের উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যেই। উল্লেখ্য যে, ‘জনবলই শক্তি’ যত পোলা তত লাঠি,তত শক্তি বলে বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে দীর্ঘকাল যাবত। কিন্তু সেটা বর্তমানে অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কারণ, বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। তাই দিনদিন মানুষের যায়গা দখল করে নিচ্ছে প্রযুক্তি। অর্থাৎ প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ছে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা তত হ্রাস পাচ্ছে। এমনকি যুদ্ধের ক্ষেত্রেও তাই। যেমন: গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববাসী তা তেমন জানতে পারেনি। কারণ, এই যুদ্ধ হয়েছে আধুনিক যুদ্ধ। তথা আমেরিকা সাইবার আক্রমণে ইরানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু এতে তেমন কোন লোকজন ব্যবহৃত হয়নি। প্রযুক্তিবিদরা ঘরে বসেই সুইচ টিপে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। ইরান তা স্বীকারও করেছে। তারা বলেছে, আমেরিকার সাইবার আক্রমণে ইরানের একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেটওয়ার্ক ধ্বংস হয়েছে। এভাবে বিভিন্ন দেশের হ্যাকাররা বহু দেশের ব্যাংকের টাকা নিয়ে যাচ্ছে। এ দেশেরও অনেক টাকা নিয়ে গেছে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। এমনকি খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পর্যন্ত। যা নিয়ে একটি মামলাও চলছে। এভাবে যে কোন দেশ সাইবার আক্রমণে যে কোন দেশের যেকোনো খাতের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দিতে পারে, যদি সেই দেশটির সাইবার নিরাপত্তা জোরদার না থাকে। তাই ভবিষ্যতের যুদ্ধও হবে এভাবেই। আর সে কারণেই উত্তর কোরিয়ার মতো ছোট্র ও গরীব দেশকে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র সমীহ করে চলেছে। কারণ, উত্তর কোরিয়া আধুনিক সমরাস্ত্রে বলিয়ান। তার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা সমগ্র আমেরিকা জুড়ে। কোরিয়া উপদ্বীপে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনী বা ইউএসএফকে উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ে করা প্রথম আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনায় বলেছে, ‘১২,৮৭৪ কিলোমিটার পাল্লার হাউসাং-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকার যেকোনো ভূখণ্ডে অনায়াসেই পৌঁছাতে সক্ষম’। অথচ এসব পরিচালনায় তেমন লোকজনের প্রয়োজন হয় না। তাই জনশক্তি এখন আর তেমন সম্পদ নয়, সম্পদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তার ব্যবহার। এসব ক্ষেত্রে যে যত বেশি অগ্রগামী হচ্ছে সে দেশ তত বেশি উন্নতি করছে, শক্তিশালী হচ্ছে।

যা’হোক, বাংলাদেশের অধিক জনসংখ্যাকে অনেকেই সম্পদ হিসেবে গণ্য করে। কারণ, যুব স¤প্রদায়ের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। যারা দেশের ভবিষ্যৎ। কিন্তু বাস্তবে কি? বাস্তবে এ দেশের যুব স¤প্রদায়কে আমরা জলসম্পদে পরিণত করতে পারিনি। তাই বেকারের হার সর্বাধিক। এই বেকাররা আজ জীবন যুদ্ধে পরাস্ত হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তা থেকেই অনেকেই বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। যার অন্যতম মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি ইত্যাদি। অন্যদিকে, একটি অংশ পাড়ি জমাচ্ছে বিদেশে। যার মধ্যে অবৈধ পথে বেশি। তাতে করে তারা নানা রকম বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। এভাবে দেশের শান্তি, উন্নতি ও সুনাম নষ্ট হচ্ছে। স্মরণীয় যে, এই যুব স¤প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষিত ও উচ্চ শিক্ষিতরাও আছে। কারণ, তাদের মধ্যে বেকারের হার প্রায় অর্ধেক। কারণ, তারা যে শিক্ষা লাভ করেছে, তা সেকেলে, কর্মমুখী নয়, তথা অদক্ষ। তাই তারা শিক্ষিত হয়েও কাজ পাচ্ছে না। অন্যদিকে, দেশে দক্ষ লোকের অভাবে বিদেশ থেকে দক্ষ লোক এনে কাজ করতে হচ্ছে। আর তারা বিপুল অর্থ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই যুব স¤প্রদায়কে যদি পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হতো, তাহলে তারা দেশের জন্য সম্পদে পরিণত হতো। দেশের উন্নতি আরও বেশি হতো।

দু’টি সন্তান নীতি বাস্তবায়ন করলেই চলবে না, সে সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। অর্থাৎ দেশ-বিদেশের বর্তমান ও অদূর ভবিষ্যতের চাহিদা মোতাবেক শিশুদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। নতুবা খাত ভিত্তিক দক্ষ লোকের অভাব পূরণ হবে না। দ্বিতীয়ত শিশুদের সুরক্ষা,বিনোদন ইত্যাদিও আবশ্যক। অপরদিকে, বর্তমান যুগে ছেলে মেয়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ, মেয়েরা যত শিক্ষিত হচ্ছে, ততই তারা নানা কর্মে নিয়োজিত হচ্ছে। এমনকি তারা কঠিন ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ কর্মও সুচারুরূপে সম্পাদন করছে। যেমন:সশস্ত্র বাহিনী, হিমালয় পর্বত জয়, খেলা-ধূলা, সাংস্কৃতিক, শিল্প-কারখানা, কৃষি, আইটি তথা সবক্ষেত্রেই দেশের নারীরা সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। এমনকি বিদেশে কর্মরত নারীরাও ভালো পারফরমেন্স করছে। তাই এ দেশের অনেক পরিবার চলছে নারীর উপার্জনে এবং সে সব পরিবার আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েছে। অথচ এ দেশের অসংখ্য ছেলে রয়েছে,যারা পরিবারের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে না। দ্বিতীয়ত নারী কর্মী তুলনামূলক-ভাবে লয়াল। সর্বোপরি নারীদের মধ্যে অপরাধের হারও খুব কম। তাই ছেলেরাই শুধু উপার্জন করে সংসার চালায়,সে প্রচলিত নিয়ম এখন আর নেই। এখন নারী-পুরুষের গুরুত্ব সমান। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার জন্যও নারী পুরুষের সংখ্যা সমান হওয়া দরকার। নতুবা সংকট সৃষ্টি হয়। যেমন: নারী ভ্রুণ নষ্ট করা হয় সর্বাধিক ভারতে। তার পরই চীনে। এতে করে চীনে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে অনেক। ফলে বিবাহের জন্য নারীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে। তাই বাধ্য হয়ে অনেক চীনা পুরুষ অন্য দেশে, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিবাহ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাতে করে শিক্ষা, ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্যও নারী ও পুরুষের সংখ্যা সমান হওয়া দরকার। নবী করিম (সা.) তার কন্যা হযরত ফাতেমাকে প্রাণাধিক ভালবাসতেন। কলিজার টুকরা মনে করতেন। হাদিস শরীফে উল্লেখ আছে, কন্যা সন্তান ভালভাবে মানুষ করে সুপাত্রস্ত করতে পারলে সে জান্নাতবাসী হবে। এসব নানা কারণেই কন্যা শিশুকে ভালবাসা উত্তম। অন্য সব ধর্মেও নারীদের মর্যাদা রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দেশের সমাজে একটি বহুল প্রচলিত বিষয় আছে,সেটা হচ্ছে-সৃষ্টি করার মালিক আল্লাহ,আহার দেওয়ার মালিকও তিনিই। হ্যাঁ, সব কিছুরই মালিক আল্লাহ। কিন্তু সেটা সংগ্রহ করতে হয় নিজ চেষ্টায়। নিজ উদ্যোগে আহার জোটাতে হয়। অর্থাৎ মানুষের প্রয়োজন মতো সব কিছুই সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ। কিন্তু সেটা সংগ্রহ করতে হয় বান্দাকে নিজ চেষ্টাতেই। তাই পবিত্র কোরআন শরীপে বর্ণিত আছে, ‘নামাজ আদায় শেষে জমিনে ছড়িয়ে পড় হালাল রুজির জন্য’। ধর্মে আরও বিধান আছে, যতদিন সংসার চালানোর সামর্থ্য না হবে, ততদিন বিবাহ করা যাবে না। প্রয়োজনে রোজা রাখতে হবে। সামর্থ্য অনুযায়ী সংসার গড়ে তোলা ধর্মীয় নীতি-রীতি।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন