শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় স্মামী-স্ত্রীসহ নিহত-৮, আহত অর্ধশতাধিক

ঠাকুরগাঁও জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৯, ১০:১৯ এএম | আপডেট : ২:২৮ পিএম, ২ আগস্ট, ২০১৯

মিছিলের খবর দিয়ে একটি শোকাবহ দিন শুরু হয় ঠাকুরগাঁওবাসীর। ঢাকা ঠাকুরগাঁও রোডের একটি টার্নিং এ বলাকা উদ্যান সংলগ্ন স্থানে ঢাকা থেকে আসা কোচ ডিপজল এক্সপ্রেস ও বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গেটলক মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ এর মধ্যে পড়ে যায় একটি মটর সাইকেল ও একটি যাত্রীবাহী থ্রি হুইলার। ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন ৫ জন বলে নিশ্চিত করেছে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে মারা গেছেন ৩ জন । এ পর্যন্ত আহতের সম্ভাব্য সংখ্যা অন্তত ৫০ বলে জানায় হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বার আশংকা করছেন হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিসের সূত্র। নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তাদের দু’জন স্মামী-স্ত্রী স্ত্রী মনসুরা ও স্মামী মোস্তফা, এরা মিনিবাসের যাত্রী ছিলেন, তাদের বাড়ি সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের জিয়াবাড়ি বলে তাদের শোকে বিলাপরত কন্যা নিশ্চিত করেন। আরেকজন হাসপাতালে এসে মারা যান তার নাম আব্দুল মজিদ (৬২)তার বাড়ি সদর উপজেলার লক্ষিপুর। নিহত বাকিদের পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
এদিকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের ছবিটি আরো করুণ। নিহত আহত ও নিখোঁজদের স্বজনদের চিৎকারে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য।হাসপাতালে ছোট্টো জরুরী বিভাগের রূমটিতে মারাত্মক আহতদের জায়গা না হওয়ায় অনেককে করিডোরের বারান্দায় চিকিৎসা দিচ্ছিলেন হাসপাতাল কর্মীরা। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় এমনিতেই তাদের উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম, তবে খবর পেয়ে ছুটি বাদ দিয়ে পড়িমড়ি করে ঢুকছিলেন হাসপাতাল কর্মচারি কর্মকর্তারা । সীমিত সামর্থের মধ্যে আহতদের বাঁচার চেষ্টা করতে গিয়ে কোনো কোনো লাশ পড়ে ছিল অবহেলায় যতক্ষণ না স্বজনরা এসে চিৎকার করে কান্না বিলাপে সেগুলো সরাচ্ছিলেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান টেলিফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, মারাত্মক আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের পরিচয় সনাক্ত করে দাফন সম্পন্ন করার জন্য প্রত্যেকে পরিবারকে দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্যও সহায়তা করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন