পাবনায় ২দিন দিনের উচ্ছেদ অভিযানে পাবনা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত ৩৫০ টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ জেলার মহাসড়ক সমূহের পাশে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার মুক্ত করতে এই আগামী আরও দুই/তিন দিন অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ঢাকা -পাবনা মহাসড়কের কাশিনাথপুর এলাকায় , পাবনা শহরের অনন্ত মোড় ও টার্মিনাল এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুর, নগরবাড়ী সড়কে ২৫০টি অবৈধ অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। বেশিরভাগ অবৈধ কাঠামো হ'ল ইট নির্মিত দোকান। পাবনা শহরে প্রায় ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে উচ্ছেদের পর আবার ঐ সব স্থানে স্থাপনা নির্মিত হয়। এবার ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়ে মাঠে নেমেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
বৃহষ্পতি ও শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় এই কার্যক্রম চালানো হয়। পাবনা শহরের অনন্ত মোড়, বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গাছপাড়া বাইপাস সড়ক পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলে। সকালে পরিচালিত অভিযানে প্রায় ৫০টির বেশী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহাবুবুর রহমান ফারুকী ও নির্বাহী প্রকৌশলী সমিরন রায় জানান, এই অভিযান আরও দুই/তিন দিন চলবে । সরকারের নির্দেশনা বাস্তাবায়নে সড়ক ও জনপথের রাস্তার পাশে গড়ে তোলা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
এই অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহাবুবুর রহমান ফারুকী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহাদুদুল হাসান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিদ্যুৎ ,গ্যাস বিভাগের কর্মকর্তাগণ (বিদ্যুৎ ও গ্যাস কর্তৃপক্ষের লোক) সমন্বিতভাবে উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
“জনগণের সহজ চলাচলের স্বার্থে মহাসড়–ক অবমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। আমরা কাশিনাথপুর, আতাইকুলা এবং পাবনা শহরে গত দুইদিনের অভিযানে বিপুল সংখ্যক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দকলমুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, উচ্ছেদ শিকার অবকাঠামোর লোকজন অভিযোগ করেছেন, তাদের
পুর্বে কোনও বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় তাঁরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছেন।
“কোনও নোটিশ ছাঢ়াই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয় রাস্তার পাশে দরিদ্র ব্যবসায়রা তাদের মালামাল সরানোর কোনো সময় পাননি। হঠাৎ করে উচ্ছেদ অভিযানের ফলে তারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান। ‘ পাবনা শহরের অনন্ত এলাকার ছোট ব্যবসায়ী মোঃ রিপন হোসেন অভিযোগ করেন তিনি কোন নোটিশ না পাওয়ায় মালামাল সরাতে পারেননি।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে সড়ক ও জনপথ কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা ইতিমধ্যে এই অভিযানের বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছেন। মাইকিংও করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা অবৈধ স্থাপনা ও মালামাল সরিয়ে নিলে আমাদের কিছু করার নেই ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন