শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

যশোরে ডবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন এসপির নেতৃত্বে অভিযান, মুল ঘাতকসহ আটক ৪

প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যশোর ব্যুরো : যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চড়াভিটা বাজারে আব্দুল বারী ফিলিং স্টেশনে ডবল মার্ডারের রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। একইসাথে আটক করা হয়েছে মূল ঘাতকসহ ৪ জনকে। ফিলিং স্টেশনের তেলচুরির টাকা ভাগাভাগি, মাদক সেবন নিয়ে বিরোধ ও কলেজছাত্র অপুর টাকা লুট করতেই এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান।
ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়া ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী যশোর সদর উপজেলার মুনসেফপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করেছে। সোমবার রাতে সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। আটক অপর তিন সহযোগী হলো, সদরের রামনগর গ্রামের ইকবাল, বাঘারপাড়া উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের নয়ন ও চাড়াভিটার নাসির। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় সোমবার রাতেই অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেছেন ফিলিং স্টেশনের ইজারাদার মাসুদুর রহমান।
সোমবার সকাল থেকে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে একে একে সব রহস্য বের হয়ে আসে। পুলিশ সুপার (এএসপি) বিল্লাল হোসেন জানান, আটক কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম জোড়া খুনের দায় স্বীকার করেছে। আটক সিরাজুল স্বীকারোক্তি দিয়েছে ‘ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজারের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব ছিল। প্রতিদিন তেল চুরির টাকার ৮০ ভাগ ম্যানেজার নিয়ে নিতেন। বাকী ২০ ভাগ পেতেন সিরাজুল। এ নিয়ে সিরাজুল ক্ষুব্ধ ছিলেন। এছাড়া ইকবাল, নয়ন ও নাসির ফিলিং স্টেশনে বসে গাঁজা সেবন করতো। এতে ম্যানেজার বাঁধা দিতো। এ নিয়ে ওই তিনজনও চরম ক্ষুব্ধ ছিল। তারা চারজন মিলে রোববার রাতে ওবায়দুর ও লিজন আহমেদ অপুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের পাশের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রোববার রাতে যশোর-নড়াইল সড়কের বাঘারপাড়া উপজেলার চড়াভিটা বাজারে আব্দুল বারী ফিলিং স্টেশনে ম্যানেজার, এক কলেজ ছাত্রসহ ৩ জন ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই রাতেই হত্যা করা হয় ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার বাঘারপাড়া উপজেলার দশপাখিয়া গ্রামের রহমান মোল্লার ছেলে ওবায়দুর রহমান (৩০) ও রঘুনাথপুর গ্রামের সদর উদ্দিন খানের ছেলে লিজন আহমেদ অপু (২৪)। হত্যাকা-ের পর পালিয়ে যায় ওই ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী সিরাজুল। এ কারণে হত্যাকা-ে তার জড়িত থাকার বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। পটুলিশের সন্দেহের তীর ছিল সিরাজুলের দিকে। তিনি আটক হওয়ার পর তার স্বীকারোক্তিতে সব রহস্য বেরিয়ে আসে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন