জয়পুরহাট সদরের ভাদসা-হরিপুর বাঁধ এলাকায় এক ভ্যান চালকে জবাই করে এবং একই দিন দুপুরে কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত জেরে এক মহিলা কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতরা হলো নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত মজির উদ্দিন এর ছেলে ভ্যান চালক আব্দুর রহিম ও জয়পুরহাট সদর উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের স্ত্রী খোদেজা বিবি । জয়পুরহাট সদর ও কালাই থানা পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে ।উভয় ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করেছে।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, আব্দুর রহিম প্রতি দিনের মত গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে গেলে আর ফিরেননি। আনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি, পাশাপাশি মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়ায় গত রাতেই তার স্বজনরা ধামইরহাট থানায় বিষয়টি অবগত করেন। আজ বুধবার সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। ভ্যানটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে।

অপরদিকে কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়ন এর সোনার পাড়া গ্রামের জমিজমা সংক্রান্ত জেরে প্রতিপক্ষের কোদালের আঘাতে খোদেজা বিবি নামে এক মহিলা মারাত্মক আহত হয়,তাকে চিকিৎসার জন্যে কালাই হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে বগূড়া শহীদ জিয়া বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজে পাঠালে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয় ।নিহত খোদেজা কালাই উপজেলার মাত্রাই ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের স্ত্রী ।ওই ঘটনায় কালাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে ভ্যান চালক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে গ্রেফতারকৃতরা হলো সদর উপজেলার চকশ্যাম গ্রামের শফিকুুল ইসলামের পুত্রর মোঃ জনি ও বুজরুক ভারুনিয়া গ্রামের আব্দুল খালেক এর পুত্রর তরিকু ইসলাম।