গত ২৬ মে ঢাকাহস্থ বাসা থেকে বগুড়ার সান্তাহারের আনিকা নওশিন সারা (২৫) নামের দুই সন্তানের জননী গৃহবধুর গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধারের পর স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে লাশের ময়না তদন্ত ছারাই সান্তাহার শহরের গুলসান এলাকার কবরস্থানে তাকে দাফন করার পর নিহত আনিকা নওশি সারার বড় বোন নাজমুন নাহার সারা বাদি হয়ে গত ৩১ জুন ঢাকার হাতিরঝিল থানায় আনিকার স্বামী শাকিল আদনানকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ঢাকায় সি আইডিতে স্থান্তর করা হলে তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসাইন মামলাটি সুষ্ট তদন্তের স্বার্থে ও তার মৃত্যুর সঠিক কারন উৎঘাটনের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলনের আবেদন করেন। আদালতের আদেশে ৭০ দিন পর মঙ্গলবার দুপরে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
আনিকা নওশিন সারা সান্তাহার নতুন বাজার এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের মেয়ে। ১২ বছর আগে সান্তাহার শহর পার্শ্ববর্তী সান্দিড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে খালাতো ভাই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাকিল আদনানের সাথে আনিকার বিয়ে হয়। তাদের আরাফাত (৭) ও সাদাত (৪) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় ভাড়ার বাসায় বসবাস করছিল। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কলোহ চলে আসার একপর্যয়ে গত ২৬ মে রাতে তার স্বজনরা ওই ভাড়ার বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে ময়না তদন্ত ছারাই ঢাকা থেকে লাশ এনে সান্তাহারে দাফন করা হয় এবং এঘটনায় মামলা দায়ের পর আদালতের নির্দেশে ৭০ দিন পর কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন