শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গমাতা নারী সমাজের প্রেরণার উৎস : প্রেসিডেন্ট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৫:৫০ পিএম

প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস।

আগামীকাল ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘বঙ্গমাতা আমাদের মাঝে না থাকলেও তার রেখে যাওয়া আদর্শ সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। বঙ্গমাতা ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী। পার্থিব বিত্ত-বৈভব বা ক্ষমতার জৌলুস কখনো তাকে আকৃষ্ট করতে পারেনি।’

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পত্মী হয়েও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন, গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করতেন। তিনি ছিলেন আদর্শ বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি।

প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধূসহ নিকট আত্মীয়ের সাথে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহিদ হন। জাতির ইতিহাসে সে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়।

তিনি বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে কারাবন্দি স্বামীর জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে গভীর অনিশ্চয়তা ও শঙ্কার মাঝেও তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আবদুল হামিদ বলেন, দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে অসংখ্যবার কারাবরণ করতে হয়েছে। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেই কঠিন দিনগুলো স্বামীর পাশে থেকে দৃঢ়তার সাথে মোকাবিলা করেছেন। পরিবারের দেখাশোনার পাশাপাশি স্বামীর মুক্তির জন্য মামলা পরিচালনা, দলের সাংগঠনিক কাজে পরামর্শ ও সহযোগিতা দান সবই তাকে করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। তারই পরামর্শে বঙ্গবন্ধু হৃদয় থেকে উৎসারিত অলিখিত এ ভাষণ প্রদান করেন। দেশ ও জাতির জন্য অপরিসীম ত্যাগ, সহমর্মিতা, সহযোগিতা ও বিচক্ষণতা তাকে বঙ্গমাতায় অভিষিক্ত করেছে।

প্রেসিডেন্ট বলেন, ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্ম। তার ডাকনাম ছিল রেণু। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন দৃঢ়চেতা। যে কোনো পরিস্থিতি তিনি বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য ও সাহস নিয়ে মোকাবিলা করতেন।

আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী হওয়ার পর তাঁর জীবনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। তিনি কেবল জাতির পিতার সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত।

বাণীতে তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহীয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৬:৫৬ পিএম says : 0
স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনি ১৫ই আগষ্টের জাতির ইতিহাসের ভয়াবহ হ্নদয় বিদারক শহীদি কাফেলার বঙ্গমাতার শুভ জম্ন বার্ষিকী মোবারক গভীর সম্মান শ্রদ্ধাঞ্জলি অফুরন্ত দোয়া। এই শহীদি পরিবারের বাংলাদেশ। তাহার আদরের শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ক্ষুদা দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশের রুপকার আকাশ বিজয় সমুদ্র বিজয়ী ডিজিটাল বাংলাদেশের সুর্য সারথী। বিশাল অর্থনৈতিক শক্তিশালী বাংলাদেশের মহান নেতা। বিশ্বের প্রভাবশালী নেতা বিশ্ব মানবতার মা জননী বঙ্গমাতার হীরার টুকরো সন্তান মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গমাতার জম্নবার্ষিকীতে শত শহস্র সালাম অফুরন্ত দোয়া। শ্রদ্ধাঞ্জলি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন