বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

দেশের পরিবেশে এডিস মশার বেঁচে থাকার উপাদান অনেক বেশি

প্রাণি বিজ্ঞান সমিতির আলোচনা সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ৬:১৯ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর হুমায়ুন রেজা খান বলেছেন, দেশের পরিবেশে এডিস মশার বেঁচে থাকার উপাদান অনেক বেশি। অনেক সময় দেখা যায় যেখানে পানি থাকে এক বা দুই ইঞ্চি মাটির নিচেও সেখানে মশার ডিম পাওয়া যায়। তাই এতো সহজেই এই মশার মূল উৎস ধ্বংস করা যাবে না।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডেঙ্গুর বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাণি বিজ্ঞান সমিতি ও নেচার কনজারভেশন সোসাইটি।

হুমায়ুন রেজা খান বলেন, এবছর আগে ভাগে বৃষ্টি হয়েছে। ফেব্রুয়ারী মাসে শুরুতে যখন বৃষ্টি হয়, তখন থেকে এর নিয়ন্ত্রণে কাজ করা উচিত ছিল। ফেব্রুয়ারী মাস থেকে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের প্রচারণা শুরু করা উচিত ছিল।
তিনি জানান, একটা মশা গড়ে ২১ দিন বাঁচে। তারা ১০ জেনারেশন শেষে একটা ফিমেল মশা থেকে ২ লাখ ৬২ হাজার ১৪৪ টি ফিমেল মশার জন্ম দেয়। সেখান থেকে ডিম হবে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি। এ কারণে আজকে সারা বাংলাদেশে এই মশা ছড়িয়ে পড়েছে ।

তাহলে কিভাবে এদের ধ্বংস করা যাবে? এব্যাপারেও তিনি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এখন আমরা হাবুডুবু খাচ্ছি। শুধু বাসার ফুলের টব বা টায়ারের পানি সরালেই হবে না। এসি'র পানি যেখানে পড়ে সেখানে মশা জন্ম হয়, লিফটের নিচে, নির্মাণ কাজের সময় ফ্লোরের উপর যে পানি রাখা হয়, এসব জায়গা থেকে হাজার হাজার মশা তৈরি হয়। ওইসব জায়গার মশা ধ্বংস করতে হবে। তাহলেই মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে কিভাবে মশা তৈরি হয় ও কিভাবে ধ্বংস করতে হয়। আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. গুলশান আরা লতিফা, সাধারণ সম্পাদক ড. তপন কুমার দে, ঢাবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপক মো. নিয়ামুল নাসের, কীটতত্ত্ববিদ ড. তানজিন আক্তার, ড. মুর্শিদা বেগম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন