শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

আগাম প্রস্তুতিতে এবার ভাঙন কম হয়েছে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে নদীভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। এবার ভাঙ্গন রোধে আগাম প্রস্তুতি থাকায় হাওরাঞ্চলের সিংহভাগ মানুষ তাদের জমির ফসল কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যে কারণে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হয়নি। গতকাল সচিবালয়ে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, আমি নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ। কাজেই নদী ভাঙ্গনের কষ্ট অনেকের চেয়ে আমার উপলদ্ধিটা একটু ভিন্ন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বিশেষ করে ফেব্রæয়ারি থেকে আমরা নদী ভাঙ্গন কবলিত ৬৫০ টি এলাকা চিহ্নিত করি। ৬৫টি এলাকা সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এসব জায়গায় ভাঙ্গন রোধে আগাম প্রস্তুতি হিসেে কমপক্ষে ১০ হাজার জিও ব্যাগ (কিছু কিছু জায়গার ১৫ হাজার) রাখা হয়েছিল। ভাঙ্গন দেখা দেওয়ার সাথে সাথে তা ফেলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। নদী ভাঙ্গন কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি।

গত কয়েকদিন আগেই চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেওয়ার সাথে সাথে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রক্ষা পেয়েছে। না হলে পানিতে বিলিন হয়ে যেত। শামীম বলেন, আমরা বাধ সংস্কার বা নির্মাণ কোন কাজেই গাফিলতি সহ্য করবো না। এটা সংশ্লিষ্ট্রদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী জানান, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার খুবই কম ভেঙ্গেছে। কারণ আমাদের আগাম প্রস্তুতি ছিল। আমরা সবাই আন্তরিক ছিলাম।

শামীম বলেন, এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ টি জায়গা পরিদর্শন করেছি। এরমধ্যে কোথায় কোথাও একাধিকবার যাওয়া হয়েছে। উত্তরাঞ্চলে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপন সম্ভব হয়নি। কাজ চলছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারবো। এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করব।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন