খুলনা জিআরপি থানা হাজতে গণধর্ষণের ঘটনায় থানার ওসি ওসমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে ক্লোজড করা হয়েছে। গতকাল বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা এখনো আদালতের কোনো আদেশ পাইনি। এমনকি ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলা হয়নি। তদন্তের প্রাথমিক অবস্থায় ওই দু’জন কর্মকর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। তদন্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে গত শুক্রবার খুলনার জিআরপি থানার ওসি ওসমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক তরুণীকে (২১) গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পাওয়ার পর আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। পরীক্ষা শেষে ওই নারীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিমের দুলাভাই জানান, গত ২ আগস্ট শুক্রবার তার শ্যালিকা যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। ট্রেন থেকে নামার পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে মোবাইল চুরির অভিযোগে সন্দেহজনকভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে তাকে (ভিকটিমের দুলাভাই) ফোন করে ওসি ওসমান গণি থানায় ডেকে নিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি এত টাকা কোথায় পাবেন বললে ওসি তাকেও থানাহাজতে আটকে রাখার হুমকি দেন। একপর্যায়ে বলেন, টাকা না দিলে তার শ্যালিকাকে ফেনসিডিলসহ আরও কঠিন মামলায় চালান দেয়া হবে। পরে রাত বেশি হলে তিনি বাড়ি ফিরে যান। এর মধ্যে গভীর রাতে জিআরপি থানার ওসি ওসমান গণি পাঠান প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর আরও চারজন পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ৩ আগস্ট শনিবার তাকে ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। ওই নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন