শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় প্রান গেল ছাগল ব্যাবসায়ীর

কেরানীগঞ্জ(ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৯, ৭:৪৫ পিএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় এবার প্রান গেল এক ছাগল ব্যাবসায়ীর। নিহত ব্যাবসায়ীর নাম মোঃ বাদল হোসেন(৬৩) । তার বাবার নাম মৃত মোবারক হোসেন । বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার জিনজিরা ইউনিয়নের আমিরাবাগ গ্রামে। তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ। এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টায় মডেল থানার জিনজিরা গোললজারবাগ এলাকায়।নিহতের স্ত্রীর বড়ভাই মোঃ ফারুক হোসেন বাংলাট্রিবিউনকে বলেন, আমার ভাগ্নে মোঃ সজল হোসেন(১৭) সকাল ১১টার সময় ৬টি ছাগল নিয়ে গোলজারবাগ এলাকা দিয়ে জিনজিরা বাজারের ছাগলপট্রিতে বিক্রি করার জন্য যাচ্ছিল। এসময় আমার ভাগ্নের সাথে তার আরো ২/৩জন বন্ধু ছিল। পথে গোলজারবাগ এলাকার ৩/৪জন যুবক আমার ভাগ্নে সজলকে বলে যে ছাগলগুলো তুই কোথা থেকে চুরি করে এনেছিস। এই কথার জেড়ধরে আমার ভাগ্নের সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই যুবকরা আমার ভাগ্নেকে বেদম মারধর করে। এতে ভাগ্নে সজল তার বাবা বাদল হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে আমি ও আমার ভগ্নিপতি বাদল হোসেন ওই ঘটনাস্থলে যাই এবং এই ঘটনার প্রতিবাদ করি। এসময় ওই চার যুবকসহ স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হলে আমরা যারযারমতো বাড়ি চলে আসি। জুম্মার নামাজের পর গোলজারবাগ এলাকার ওই চার যুবকসহ আরো ৮/৯জন যুবক আবার ওই ঘটনার জেড়ধরে আমিরাবাগ এলাকায় আমার ভগ্নিপতি বাদল হোসেনের দোকান থেকে তাকে জোড়পূর্বক গোলজারবাগ এলাকায় ধরে নিয়ে আসে।তারা সেখানে একটি বাড়িতে তাকে আটকিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর ও পিটিয়ে হত্যা করে। পরে তারা দ্রুত আমার ভগ্নিপতি বাদল হোসেনকে ছাটগাও সাজেদা হাসপাতালে নিয়ে সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্তি পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের, ওসি তদন্ত মোল্লা সোহেব আলী দ্রুত সাজেদা হাসপাতালে ছুটে যান । পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম নিহতের লাশটি সাজেদা হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলকলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে।নিহত বাদল হোসেন ষ্টীলের ফার্নিচার ব্যাবসার পাশাপাশি সে ছাগল কেনাবেঁচার ব্যাবসাও করতেন।
এব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mithu ১১ আগস্ট, ২০১৯, ১০:২৩ পিএম says : 0
ঐ ..............দের কঠিন শাস্তি হোক
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন