ফাঁকা হয়ে গেছে বন্দরনগরী। ডেঙ্গু আতঙ্কের মধ্যেও স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে চট্টগ্রামনগরী ছেড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। টানা ঈদের ছুটিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও নাড়ির টানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। ফলে সরগরম হয়ে উঠেছে গ্রাম।
গত বৃহস্পতিবার অফিস ছুটির পর থেকে বাস-ট্রেন স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামে। রেলের স্পেশাল ট্রেনের প্রতিটি বগিতে ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল। সব বগির সিট পূর্ণ হয়ে গেলেও অনেকে দাঁড়িয়ে আবার অনেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ট্রেনের ছাদে করে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
নগরীর বিআরটিসি, কদমতলী বাস স্টেশন, গরীবুল্লাহ শাহ মাজার ও অলঙ্কার মোড় থেকে আন্তঃ জেলা বাসে দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশে চট্টগ্রামনগরী ছেড়েছে অনেক মানুষ। শত দুর্ভোগ ও কষ্টের মাঝেও ঘরমুখো মানুষের চোখে-মুখে কোন বিষণ্নতা ছিল না। পরিবারের সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগিতে যেন পরম আনন্দ।
আজ রোববার শেষ মুহূর্তে গ্রামের বাড়ি যাবেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা। এদিকে নগরী ফাঁকা হয়ে গেলেও সরগরম হয়ে উঠেছে গ্রাম অঞ্চল। গ্রামের পশুহাটগুলোও জমে উঠেছে। শহর থেকে যারা গ্রামে এসেছেন তারা কোরবানির পশু দেখে শুনে কিনছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন