পাহাড়ী ঢল আর টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ৯জুলাই থেকে ২৮জুলাই পর্যন্ত টানা বিশ দিনের বন্যায় জেলার ৪০৫টি চর ও দ্বীপ চরের ৯লাখ ৫৮ হাজার মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে পড়ে। ত্রাণের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করে জীবন বাঁচাচ্ছে চরবাসিরা। এরই মধ্যে আজ ঈদুল আজহা উৎযাপিত হলো।সামর্থ না থাকায় পশু কোরবানী করে ঈদের আনন্দ ছিল না চরবাসসিদের। দুটি চরে গরু কোরবানী করে ৩০০পরিবারের মাঝে মাংশ বিতরণ করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিলেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের চর রাউলিয়া ও চর কুমরেরবশ। চর দুটি দুধকুমোর ও ব্রহ্মপূত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এ দুটি চরে প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস। সরকারি ত্রানে তাদের ভরসা। ঈদে এক টুকরো মাংশ পাওয়া এজন্য তাদের কাছে অমাবশ্যার চাঁদ। তাদের কিছুটা ঈদের আনন্দ দিতে সকালে চরবাসিদের কাছে ছুটে গেলেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার। আলোর পাঠশালার মাঠে আড়াই লাখ টাকার দুটি গরু কোরবানী করা হলো। কোরবানীর টাকার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, তার ঢাকা কলেজের এক বন্ধু এবং আর এক বড় ভাই চরের মানুষের ঈদে কিছুটা আনন্দ দিতে তাদের এই সামান্য প্রয়াস। পরে পরিবার গুলোকে নিজেই মাংশ বিতরণ করেণ।
পরিবারের আত্মীয়স্বজন ছাড়া এবার কুড়িগ্রামে ঈদে তিনি ব্যথিত ছিলেন।কিন্তু পুলিশ সুপার বলেন, “চরের মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমার মনে হচ্ছে এরাই তো আমার আরেক পরিবার।”
এদিকে রাউলিয়া চরের বাসিন্দা নুর আলম, ছকিমুদ্দি, উমেদ আলী.জয়নাল তাদের অনুভুতি জানাতে গিয়ে বলেন, “এবার ঈদে গোস্ত খামো হামরা ভাববার পাই নাই” এসপি সাব ব্যবস্থা করি দিছে আল্লাহ তার ভাল করুক।একই অনুভূতি জানালেন চর কুমরেরবশ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার, আব্দুস সোবহান,শাহাবুদ্দিন, শামসুল আলম সহ অনেকে।
ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম জানান, নদীপথ পাড়ি দিয়ে পুলিশ সুপার চরবাসিদের যে সগযোগিতা করলেন তা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন