শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন বলেই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই -মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও থেকে রুবাইয়া সুলতানা বাণী | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৩১ পিএম | আপডেট : ৪:১৩ পিএম, ১৪ আগস্ট, ২০১৯

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন বলেই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সে কারণেই বর্তমান সরকার দেশের রাজনীতি,অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্র ও আইন কাঠামোর দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে চলেছেন।


সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবী করে , নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচনের দাবী করেন বিএনপি মহাসচিব।


সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতা হানিফের বক্তব্য খণ্ডন করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এমন কিছু করেননি যে তাঁকে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি অন্যায় করেননি, কোনো অপরাধ করেননি, নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সরকার ক্ষমতার জোরে তাঁকে বন্দী করে রেখেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন সরকার ও শাসকদের করায়ত্ত, তাই আন্দোলনের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত করতে হবে।


মির্জা ফখরুল বুধবার সকালে কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনান, যুবদল নেতা আবু তাহের দুলালসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।


তিনি বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক নৈরাজ্য ও টানপোড়েনের প্রভাব সাম্প্রতিক চামড়া বাজারের বিপর্যয়ের কারণ বলে উল্লেখ করে বলেন, মানুষ কুরবানির চামড়া বিক্রি করতে না পেরে অনেকেই সেটা পুতে ফেলেছেন। এটা দেশের বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতি যার দীর্ঘস্থায়ী বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে আমাদের লেদার শিল্পের উপর। তিনি এজন্য সরকারকে দায়ি করে বলেন, সরকারের পূর্ব পরিকল্পনার অভাবে, চামড়া ব্যবসায়িদের চামড়া কেনার জন্য সুবিধাজনক ঋণ প্রদানে অনীহা এসব কারণেই ্এই নজিরবিহীন নৈরাজ্য ঘটেছে। আর এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন , পশুপালনকারী, চামড়া ক্রয়কারি এমন কি চামড়ার সাথে যুক্ত বড় ব্যবসায়িরাও।


তিনি আরো বলেন, তথাকথিত মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি বেশি দেখিয়ে সরকার দাবী করছে তারা উন্নয়নের রোল মডেল, বিরাট একটা উন্নয়ন করে ফেলেছেন, কিন্তু তাদের সরকারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেশের বড় বড় অর্থনীতিবীদরা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, এসব আসলে আরেকটি গণপ্রতারণা। আজ ব্যাংক সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ টাকা তুলতে গেলে টাকা পায়না, সরকার টাকা নিয়ে টাকা ব্যাংককে ফেরত দেয়না ,আমানতকারিদের কাছ থেকে টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে আবার অন্যদিকে সরকারি খরচ বাড়ানো হচ্ছে, যা আসছে জনগণের ট্যাক্স থেকে। আগে একটা পরিবার থেকে একটা ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদে একজন থাকতে পারতেন, এখন সেখানে একই পরিবারের ৪ জন থাকার নিয়ম করা হয়েছে। এভাবে আওয়ামী লীগের কিছু লোকজনের কাছে চলে যাচ্ছে জনগণের সমস্ত টাকা। আর এর মাধ্যমে দেশে আভ্যন্তরিণ বিনিয়োগ কমিয়ে বিদেশের বাজারে পরিণত করা হচ্ছে দেশকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন