মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কার স্বার্থে চামড়া রপ্তানীর সিদ্ধান্ত প্রশ্ন রিজভীর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ৫:২২ পিএম

তড়িঘড়ি করে চামড়া রপ্তানীর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রশ্ন তুলেছেন কার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কোরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে যখন দেশের মানুষ ক্ষোভে দুঃখে চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেললো ঠিক তখনি পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া রপ্তানীর ঘোষণা দিল অন্ধকারের সরকার। গরীব, মিসকিন, এতিমদের হক মারার পর কার স্বার্থোদ্ধারে, কেন এই তড়িঘড়ি করে এই রপ্তানীর ঘোষণা দেয়া হলো তা দেশের মানুষ জানতে চায়।

বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঈদ উপলক্ষে সরকারী ছুটি চলছে। অফিস, আদালত সব বন্ধ। এই সময়ে হঠাৎ গতকাল রাতের অন্ধকারে কাঁচা চামড়া রপ্তানীর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলো সরকার। একদিকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে কম টাকায় চামড়া কিনে এতিম মিসকিনদের পেটে ভয়বহ নিষ্ঠুরতায় লাথি মারা হলো। অন্যদিকে এখন আবার কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানীর সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের ট্যানারী শিল্পকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হলো।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সবই ছিলো পুর্ব পরিকল্পিত এবং সিন্ডিকেটের লুটপাটের জন্য মহাকারসাজি। এই চামড়াই আবার দেখা যাবে অন্য দেশ থেকে আমদানী করা হবে চড়ামুল্যে। কাঁচা চামড়া রপ্তানী হলে শতভাগ দেশীয় শিল্প অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এবং এই শিল্পে হাজার হাজার কোঢি টাকার বিনিয়োগ ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।

রিজভী বলেন, দানের চামড়াগুলো দিয়েই মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো চলে। তারা এবার বিপাকে পড়েছে। ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকরা যখন ধানক্ষেতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো, ঠিক তখনই বিদেশ থেকে আমদানীকৃত ট্রাক বোঝাই চালের দৃশ্য দেখতে হয়েছিলো। কোরবানীর পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে যখন দেশের মানুষ চামড়া মাটিতে পুঁতে দিলো ঠিক তখনই পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া রপ্তানীর ঘোষণা দেয়া হলো।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যেমন করে ধান পুড়িয়ে অন্য দেশ থেকে আনা চাল খেতে হয়েছে, ঠিক তেমনি করেই চামড়াশিল্প ধ্বংস করে পানির দরে কেনা কাঁচা চামড়া প্রতিবেশী দেশে রপ্তানী করতে হচ্ছে। ঠকছে কৃষক, ঠকছে এতিম-গরীব-মিসকিন। জিতছে লুটেরা, জিতছে সিন্ডিকেট আর তাদের সতীর্থরা। ক্ষতি হবে এই শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অনেক লোক। বেকার হয়ে পড়বে এর সঙ্গে জড়িতে বিপুল সংখ্যক মানুষ। তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Nadim ahmed ১৪ আগস্ট, ২০১৯, ৬:০৪ পিএম says : 0
The decision was made in favor of India and two Awami League leaders, everyone knows about it.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন