শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পর্যটকে মুখর কক্সবাজার

বিপর্যস্ত রাস্তাঘাটে ভোগান্তি

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঈদুল আজহার ছুটির সাথে জাতীয় শোক দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৮ দিনের ছুটিতে কক্সবাজার এখন পর্যটকে টইটম্বুর। হোটেল-মোটেল রেস্টহাউজ-গেস্টহাউজ সবই পর্যটকে ভরপুর। কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সৈকত ম‚খর হয়ে উঠছে হাজারো পর্যটকের সরব পদচারণায়। বৈরী আবহাওয়া, রাস্তা-ঘাটের দুর্ভোগ কিছুই যেন বারণ করতে পারছেনা ভ্রমণ পিয়াসুদের। ঈদের আগে থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। ঈদের পরে প্রতিদিনই বাড়ছে এ স্রোত।

এদিকে পর্যটকের এ স্রোত সামাল দিতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে কক্সবাজারের প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। হোটেল মোটেল মালিক ও পর্যটন ব্যবসায় সম্পৃক্তরাও পর্যটকদের সেবায় তৎপর রয়েছেন সারাক্ষণ। গতকাল সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সীইন পয়েন্ট, ডলফিন পয়েন্ট ও হিমছড়ি এবং ইনানী সৈকতে ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্রই পর্যটকদের সরব পদচারণা। বৈরী আবহাওয়াতেও উন্মুক্ত সৈকতে ঘুরে বেড়ানো এবং সৈকতে গোসল করে ক্লান্তি কাটানোর স্পৃহা মোটেও কমেনি তাদের। গত ৫ দিনে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ও টেকনাফ সৈকত পয়েন্টে ৮ ছাত্র নিখোঁজ হয় এবং ৩ জন নিহত হয়। বৈরী আবহাওয়ায় সাগর খুবই উত্তাল। তারপরেও হাজার হাজার পর্যটক সাগরে গোসল করে যেন তাদের তৃপ্তি মিটাচ্ছেন।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি ফকরুল ইসলাম জানান, টুরিস্ট পুলিশ পর্যটন এলাকায় সার্বক্ষনিক পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত। বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে নামতে সতর্কতা সত্বেও গোসল করার সময় স্রোতের টানে দুর্ঘটনার বিষয়টি দুঃখজনক। হোটেল মালিকদের মতে এবারে ছুটিতে বেশ ভালই পর্যটক এসেছে।
ঢাকা, সিলেট ও রাজশাহীর কয়েকজন পর্যটকের
সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়া পর্যটনে কোন সমস্যা নয়। তবে মারাত্মক সমস্যা হল কক্সবাজারের বিপর্যস্ত রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাদের মতে পর্যটন শহর কক্সবাজারের এ বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন সরকারের বড় বড় উন্নয়নকেই ম্লান করে দিচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন