শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টাইম-লাইন না মানার তদন্তে তদবিরবাজি হয়

আলোচনা সভায় দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দুদকে কর্মরত কর্মকর্তারা দুর্নীতি তদন্তে টাইম-লাইন না মানায় তদবিরবাজি হয়, ঘুষখোররা ঘুষ খাওয়ার সাহস পায় এবং সর্বোপরি কমিশনের ভাবমর্যাদায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যায়। আমরা সেটা কতটুকু করতে পারছি তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রতি বছরই জাতির পিতার মহাপ্রয়াণ দিবসে আমরা আলোচনা সভা করি, কবিতা আবৃতি হয়, তথ্যচিত্র দেখি, শপথগ্রহণ করি এবং কেন যেন মনে হয় কেউ কেউ শপথ ভঙ্গও করি। শপথ যদি ভঙ্গ না হয়, তাহলে নিজ নিজ দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করার কথা। আমাদের সবার মানসিকতার পরিবর্তন হওয়ার কথা। কিন্তু এগুলো সেভাবে অনুধাবন করা যাচ্ছে না। মহান আল্লাহকে হাজির-নাজির রেখে আপনারা বলুন, আপনাদের দায়িত্ব কি সঠিকভাবে পালন করছেন? এ ব্যাপারে আমার বেশ সংশয় রয়েছে।

কমিশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আইন আপনারা কতটুকু মান্য করেন। প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্ত সব ধরনের লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে মোহমুক্ত থেকে করেন কি না? এর উত্তর আমি প্রত্যাশা করব ‘হ্যাঁ’, তবে সমাজের অনেকেই উত্তর দেবেন ‘না’। এটা করার জন্য আমাদের সব ধরনের চাপ তা রাজনৈতিক হতে পারে, সামাজিক হতে পারে, পেশাগত হতে পারেÑ এসবের ঊর্ধ্বে থাকতে হবে। এমনকি ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানের সব ধরনের লোভ-লালসাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নির্মোহভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেই বলেছিলাম, প্রতিটি অভিযোগ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্য থেকেই নিষ্পত্তি করতে হবে। তারপর অনেকেই সময় স্বল্পতার কথা বললেন। আমরা বিধি পরিবর্তন করে সময় বাড়িয়ে দিয়েছি। তারপরও নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত শেষ করা যাচ্ছে না কেন? এ টাইম-লাইন না মানার কারণেই তদবিরবাজি হয়, ঘুষখোররা ঘুষ খাওয়ার সাহস পায় এবং সর্বোপরি কমিশনের ভাবমর্যাদায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, মো. আক্তার হোসেন, উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার, সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মওলা প্রমুখ।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন