বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কর্মস্থলমুখী মানুষের জনস্রোত অব্যাহত রয়েছে। ঠাঁই নেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরিশাল নদী বন্দরসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্য নদী বন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোতে। নৌযানগুলোতে পা ফেলাও দায়। শুক্রবার থেকে কর্মস্থলমুখী মূল জনস্রোত শুরু হলেও গতকাল ভিড় ছিল সর্বাধিক। তবে বৈরী আবহাওয়ায় বিআইডবিøউটিএসহ যাত্রীদের দুশ্চিন্তা থাকলেও প্রায় সব নৌযানগুলোই ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুনেরও বেশি যাত্রী নিয়েই চলাচল করছে।
শুক্রবারও দিনভরই দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে আবহাওয়া ছিল যথেষ্ঠ প্রতিক‚ল। বরিশালসহ দক্ষিণের সব নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত জারি রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলসহ উপক‚লভাগ জুড়েই থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে। ফলে নৌযানগুলোর ছাদে ভ্রমণকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। আবহাওয়া বিভাগ থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল ও উপক‚লভাগে মাঝারী থেকে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে মোট ২৯টি নৌযান প্রায় সোয়া লাখ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। ভোর রাতের মধ্যে বেসরকারি নৌযানগুলো ঢাকায় যাত্রী নামিয়ে গতকাল শনিবার দুপুরের মধ্যেই বরিশালে ফিরে এসে সন্ধ্যায় আবার যাত্রী বোঝাই করে ঢাকায় রওয়ানা হয়েছে। ৩শ’ ফুট থেকে সোয়া ৩শ’ ফুট দৈর্ঘ্যরে ২৪টি বেসরকারি নৌযান ছাড়াও ৩টি ক্যাটামেরন ও রাষ্ট্রীয় নৌ পরিবহন সংস্থার দুটি করে স্টিমারও গত দুদিন ধরে ঢাকায় যাচ্ছে বরিশাল থেকে। এর বাইরেও ঝালকাঠিসহ আরো কয়েকটি এলাকার বেসরকারি যাত্রীবাহী নৌযানগুলো বরিশাল হয়ে ঢাকায় যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি পটুয়াখালী ও ভোলা নদী বন্দরেও।
এত নৌযানের পরেও গত দুদিন ধরে যাত্রী ভিড় এড়াতে নির্ধারিত সময়ের দেড় থেকে দু’ঘণ্টা আগেই বেসরকারি নৌযানগুলো বরিশাল বন্দর ত্যাগ করছে। শুক্রবারে ২৯টি নৌযানে প্রায় সোয়া লাখ যাত্রী পরিবহনের পরেও আরো অন্তত তিন হাজার যাত্রীকে কোন নৌযানে তুলে দেয়া সম্ভব হয়নি নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে। গতকালও একই পরিস্থিতি অব্যাহত ছিল। আগামী শনিবার পর্যন্তই দক্ষিণাঞ্চল থেকে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড় অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন ওয়াকিবহাল মহল। তবে রাষ্ট্রীয় নৌপরিবহন সংস্থা কর্মস্থলমুখী এ জনস্রোতের মধ্যেও আজ থেকে তার বিশেষ সার্ভিসসমূহ বন্ধ করে দিচ্ছে। এমনকি বরিশাল-ল²ীপুর রুটের সি-ট্রাকসহ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপক‚লীয় রুটের নৌযানও বন্ধ।
বিআইডবিøউটিএর বরিশাল বন্দর এবং নৌ নিরাপত্তা ও পরিবহন পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু জানান, আমরা যাত্রীদের নিরাপদে কর্মস্থলে ফেরার লক্ষে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত চাপের মধ্যেও ওভারলোডিং যতটা সম্ভব সহনীয় মাত্রায় রাখতে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন