কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে মাত্র তিন মাসের মাথায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফিট দৈর্ঘের একটি সেতু ধসে পড়েছে। ফলে যাতায়তে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসি।
জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিভাগের আওতায় ‘২০১৭-১৮ অর্থ বছরের গ্রামীন রাস্তায় কমবেশী ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের’ আওতায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর পূর্ব ধনিরামে আবাসনগামী খালের উপর সেতুটি নির্মিত হয়। কুড়িগ্রামের পুরাতন স্টেশনের এটিএম দেলদার হোসেন টিটু নামের একজন ঠিকাদার সেতুটির নির্মাণ কাজ করেন। যার প্রাক্কলিত মূল্য ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ১০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী, প্রয়োজন মাফিক রড সিমেন্ট ব্যবহার না করা এবং অদূরদর্শীতা ও অনিয়মের মধ্যদিয়ে সেতুটি নির্মাণ করায় গত ১১ আগস্ট সেতুটি ধ্বসে পড়ে।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির উইং ওয়াল মূল অংশ থেকে সরে যাওয়ায় ছাদ ভেঙে গিয়ে ধসে পড়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী রড, সেমেন্ট ব্যবহার করা হয় নাই। ফলে দেবেও গেছে। ধসে পড়া অংশ থেকে সরু রড বেরিয়ে এসেছে। বর্তমানে সেতু দিয়ে কোন যান বা মানুষ চলাচল করতে পারে না। এছাড়া সংযোগ সড়কের দুই পাশে মাটি দেয়া নেই। স্থানীয়ভাবে বাঁশের তৈরি সাঁকো থাকলেও তা চলাচল উপযোগী নয়।
এলাকার বাসিন্দা রহিছ, শাহ আলম, বজলে রহমান, ছালাম, বারেক, হোসেন, রশিদ এবং কাশেম জানান, স্রোতহীন খালের উপর নির্মিত সেতু কিভাবে দেবে যায় ও ধসে পড়ে? সেতুটির কাজ যেনতেন ভাবেই শেষ করা হয়েছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে শতশত মানুষ দুর্ভোগের শিকার। জনবসতি এলাকায় সেতু নির্মাানের মাধ্যমে সরকারি অর্থ্যের অপচয় কার স্বার্থে করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ জানান, সেতুটি নির্মাণ প্রাক্কলন অনুযায়ী হয় নাই। ফলে ধসে পড়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সবুজ কুমার গুপ্ত জানান, সম্প্রতি বন্যায় সেতুটির নীচ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন