আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। মামলায় ১০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এঘটনায় পুলিশ উভয় পক্ষের চার জনকে আটক করেছে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের বংশীপুর গ্রামের মৃত নোয়াবদি গাজীর ছেলে সিরাজুল গাজী (৩২), একই গ্রামের মৃত রুস্তম গাজীর ছেলে মুজিবর গাজী (২৮), আমজাদ গাজীর ছেলে আলম গাজী (২৯) ও দাউদ সরদারের ছেলে রশিদ সরদার (৩৯)।
আওয়ামীলীগ নেতা ও বর্তমান ইউ পি চেয়ারম্যান এড. শোকর আলী গ্রæপের পক্ষে আবু রায়হান বাদী হয়ে ৪৪ জন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেমের গ্রুপের পক্ষে শহিদুজ্জামান ডালিম বাদী হয়ে ৫৬ জনের নামে থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।
সোমবার (১৯ আগষ্ট) শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের দুই জন করে মোট চার জনকে আটক করা হয়েছে। বাকী আসামীদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (১৮ আগষ্ট) বিকালে উপজেলার বংশীপুর বাসস্ট্যান্ডে ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউ পি চেয়ারম্যান এড. শোকর আলী এবং সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আক্তার আলী, আব্দুস সালাম, আব্দুল আলিম, আবু সাইদ, নূর মোহাম্মদকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন