রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী (পরে আসামি হিসেবে গ্রেফতার) আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার, জবানবন্দি এবং পুলিশ সুপারের ব্রিফিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের মধ্যে এসব তথ্য সম্পূরক আবেদন আকারে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সে পর্যন্ত জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।
মিন্নির কৌঁসুলি জেড আই খান পান্না আদালত থেকে বেরিয়ে বলেন, আদালত মিন্নির জবানবন্দি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং বরগুনা পুলিশ সুপারের ব্রিফিং সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত চেয়েছেন। আশা করছি আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব আদালতে দাখিল করতে পারব।
ইতিপূর্বে গত ৮ আগস্ট মিন্নিকে সরাসরি জামিন না দিয়ে জামিনের বিষয়ে রুল জারি করতে চাইলে আবেদনটি ফেরত নেন মিন্নির কৌঁসুলি। পরে ১৮ আগস্ট বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চে পুনরায় জামিন চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫/৬ জনকে ‘অজ্ঞাত আসামি’ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকেও গ্রেফতার দখানো হয়। পরে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে এনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো আদালতে মিন্নির জামিন হয়নি।
গতকাল মিন্নির জামিনের বিরোধিতা করতে সরকারপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন