জয়পুরহাট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কর্তৃক চলতি বোরো সংগ্রহ মৌসুমে সরকারী নীতিমালা অমান্য করে ১০১ জন মিলারের মধ্যে মাত্র ২৬ জনকে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ মিলা মালিকরা। গতকার মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেসার্স শাহিন চাল কলের মালিক আবুল হাসনাত।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ৮টি অটো রাইস মিল, ৫টি সেমি অটো রাইস মিল ও ১৩টি হাসকিং মিলের ক্যাপাসিটি ভুয়া কাগজপত্র ও অফিসে বসে ফাইলওয়ার্কের মাধ্যমে ২ গুন থেকে ৪ গুণ বাড়িয়ে উল্লিখিত ২৬ জন মিলারকে বরাদ্দ প্রদান করে ৭৫ মিলারকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে বরাদ্দ দেয়া ২৬ জন মিলারের কাছ থেকে ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার প্রতি কেজি চালের জন্য দেড় টাকা থেকে দুই টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহন করেছেন। চলতি মৌসুমে এই দুই কর্মকর্তা ৬ হাজার মেট্রিকটন চাল বরাদ্দের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা আত্মসাত করার বিষয়ে ইতোমধ্যেই খাদ্যমন্ত্রী ও দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিল মালিক আমান উল্লাহ আমান, হাম্মদ আলী, মহির উদ্দীন, বক্তার হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন