গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে পাটের আবাদ ভাল হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার ফলে এখানকার কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছেন। কিছু কিছু এলাকার লোকজন নতুন পাট বাজারে তুলতে দেখা গেছে। গত ১৫/২০ বছরের তুলনায় এবার দাম অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকরা ধান চাষের পরির্বতে পাট চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় পাট উৎপাদন বেশী হতো। কিন্তু কালের বির্বতনে পাটের দাম কমে যাওয়ার ফলে এ চাষের প্রতি কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। পাটকে সোনালি আঁশ বলা হতো।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার ৯ শ’ ১০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়। গতবারের তুলনায় অনেক বেশি। গত সোমবার গফরগাঁও উপজেলায় প্রধান হাট সালটিয়া বাজারে নতুন ভাল পাট প্রতিমণ ১ হাজার ২ শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ৩ শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়। গফরগাঁও বাজারের বিশিষ্ট পাট ব্যবসায়ী মো. এমাদুল হক (ইন্তুু) জানান, দাম আরও বাড়তে পারে বলেই অনেকেই পাট মজুদ করে রেখেছে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে পাটের দাম আরও বাড়তে পারে। দিঘীরপাড় গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিন নামের একজন কৃষক জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবারে পাটের উৎপাদন ভাল হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন