বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জামালপুরের ডিসির নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৫৫ পিএম

জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি অফিসের এক নারী সহকর্মীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়। এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানান নেটিজেনরা। এদিকে জামালুপরের ডিসির এই নারী কেলেঙ্কারির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

ভিডিওটি শেয়ার করে আল শাহরিয়ার রাজন তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এমন ঘটনার জন্য। জেলার অবিভাবক হয়ে এমন কাজ কীভাবে করলো? অনতিবিলম্বে তার পদত্যাগ চাই। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’

‘তাইতো কই ডিসির নিম্ন পদস্ত কামলারা অভার পাস থেকে শুরু করে সমস্ত উন্নয়নমুলক কাজে যে হারে দুর্নীতি করেছে, সেটা ডিসি জেনেও না জানার ভান ধরে ছিলো। এতোদিনে বুঝলাম, সব দুর্নীতি অপকর্ম তার ইশারায় হয়েছে। আমরা জামালপুরের সচেতন মানুষ এই দুর্নীতিবাজ ডিসির বদলি চাই না। আমরা জামালপুরের মানুষ শহরের প্রাণ কেন্দ্রে তাকে জিজ্ঞাসা বাদ করে জনসন্মুখে তার বিচার দেখতে চাই।’ - রেজাউল করিমেন দাবি।

সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশের প্রশ্ন, ‘জামালপুরের জামাল কেমনে দেবে সামাল?’

‘ক্ষমাশীল জাতি হিসেবে আমাদের অনেক সুনাম! তাই এই জেলা প্রশাসক মহোদয়কেও কিছু দিনের মধ্যে আমাদের উর্ধ্বতন মহল ক্ষমা করে দিবেন! বেসরকারী চাকুরীজীবিদের গায়ে জ্বর নিয়েও কাজ করতে হয়। তা না হলে চাকুরী থাকে না। আর সরকারী চাকুরীজীবিদের কাজ না করে ফষ্টি-নষ্টি করলেও চাকুরী থাকে।’ - লিখেছেন এমডি রিপন আহমেদ।

ফিরোজ তালুকদারের লিখেন, ‘দেশে ধর্ষন উৎসব চলছে। ডিসি সাহেব উৎসবে সামিল হয়েছে এতে দোষের কি আছে!’

ভিন্ন কথা লিখেন ইউসুফ চৌধুরী। তিনি লিখেন, ‘এগুলো সব মিথ্যা বানোয়াট সাজনো নাটক মানুষকে হেয় প্রতি পুর্ন করার জন্য। জেলা প্রশাসকের অধিনস্ত কাছের লোক দুশমনি করতেছে । মনে হয় নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে দ্বিমত হয়েছে, সেজন্য কাছের লোক তাকে অসন্মানিত করার জন্য এগুলি করতেছে । আমাদের কাজ শুধুই কি পরের সমালোচনা করা ?’

হামিদুল ইসলাম টুইটারে লিখেন, ‘এই ডিসিকে অভিলম্বে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক। তাকে আইনের আওতায় এনে সাথে সাথে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক। আমি তার ফাঁসির দাবি করছি।’

ইউটিউবে বিভিন্ন চ্যানেল থেকেও জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও বিষয়টি নিয়ে বিভিন্নভাবে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

ফেইসবুকে প্রকাশিত ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের গোপনীয় কক্ষের বেডরুমে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে এক নারী কর্মচারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে ওই কক্ষের ইলেট্রিক লাইটের সুইচ অফ করছেন। এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখা যায় তাকে। ফুটেজে দেখা গেছে সিএ এম-২ ক্যামেরায় এটি ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে জামালপুরের নানা মহলে গুঞ্জন, কানাঘুষা চলছিল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Ruhul Amin ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ৪:০৮ পিএম says : 0
ফেইসবুকে প্রকাশিত ৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, জামালপুর জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর তার অফিসের গোপনীয় কক্ষের বেডরুমে সানজিদা ইয়াসমিন সাধনা নামে এক নারী কর্মচারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে খেতে ওই কক্ষের ইলেট্রিক লাইটের সুইচ অফ করছেন। এছাড়া ওই নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখা যায় তাকে। ফুটেজে দেখা গেছে সিএ এম-২ ক্যামেরায় এটি ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য জেলা প্রশাসকের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে র্দীঘদিন ধরে জামালপুরের নানা মহলে গুঞ্জন, কানাঘুষা চলছিল।
Total Reply(0)
monir ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ৬:২১ পিএম says : 0
Bangladesh is a golden country! This is a not fact.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন