দিনাজপুরের বিরলে এক হিন্দু গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মামলার পর ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। বিচারের নামে উল্টো ধর্ষিতাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মাতব্বরদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে বিরল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সাথে সাথে ধর্ষককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধর্ষিতাকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানাগেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ দিকে উপজেলার মালঝাড় গ্রামের জনৈক ৩৭ বছর বয়সী এক হিন্দু গৃহবধু নিজ ঘরে একাকী অবস্থান করার সময় দিনাজপুর কতোয়ালী থানার মাঝাডাঙ্গা গ্রামের মনতাজ আলীর বখাটে পুত্র সুমন (৩৭) ওই ঘরে প্রবেশ করে গৃহবধুর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। এসময় ধর্ষিতা চিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকজন এসে ধর্ষক সুমনকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে রাজারামপুর ইউপি সদস্য বিজয় চন্দ্রসহ তার লোকজন (মাতব্বরা) ছুটে আসে। ধর্ষণ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ইউপি সদস্য বিজয় ও তার লোকজন উল্টো ধর্ষিতাকে প্রায় ঘন্টা ব্যাপী নির্যাতন চালিয়ে ধর্ষিতার ডান হাত ভেঙ্গে দেয়।
খবর পেয়ে রাত ৩ টার দিকে আসে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুকুল চন্দ্র রায়। তার উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও ইউপি সদস্য বিজয় ধর্ষক সমুনকে কৌশলে নিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে শনিবার সকালে বিরল থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল জানান, মামলা হবার সাথে সাথে ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে চিকিৎসা ও ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইউপি সদস্য বিজয় চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন