মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কাশ্মীর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি বিস্মিত

২ সেপ্টেম্বর ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, কাশ্মীরের মুসলমানদের নির্মম গণহত্যা, নারী-শিশুদের অমানবিক নির্যাতনসহ ধর্ষণের মহাউৎসব চলছে। কাশ্মীরে মানবতাবিরোধী সকল কর্মকান্ড বন্ধ করতে হবে। কাশ্মীরে গণহত্যা, খুন, ধর্ষণসহ ৩৭০ ধারা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে ভারত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছে জাতি তার তীব্র নিন্দা জানায়। মুসলিম রাষ্ট্রের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ রকম দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্যে জাতি বিস্মিত।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শ্যামপুর থানা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত বেলাল হোসাইন আরিফীর সভাপতিত্বে ধোলাইপারস্থ ফেরদাউস সেন্টারে দাওয়াতী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক ও আলহাজ এমদাদুল ফেরদাউস।
তিনি আরো বলেন, আজ বাংলাদেশের সীমানা চিত্র উঠিয়ে ৪০০ মিটার ভেতরে দিয়ে দিচ্ছে এ ব্যাপারে সরকার নীরব কেন জাতি তা জানতে চায়। এছাড়া, একই দিনে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কদমতলী থানা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্বশীলদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
যারা কাশ্মীর ইস্যুকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলছেন তাদের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু কাশ্মীর সমস্যাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেননি। ১৯৪৮ সালের ১ জানুয়ারী কাশ্মীর বিরোধের সমাধান ও নিষ্পত্তির জন্য জাতিসংঘের নীতিমালার ৬ষ্ঠ অধ্যায়ের ৩৫ ধারায় সিকিউরিটি কাউন্সিলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু অভিযোগ দায়ের করে কাশ্মীর ইস্যুকে হিন্দুস্থানের বাইরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯৪৮ সালের ১৩ আগস্ট জাতিসংঘের গৃহীত গণভোটের প্রস্তাবটি এবং অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক বৈঠক প্রমাণ করেছে যে, কাশ্মীর ইস্যুটি কোনো বিধানেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়।

গতকাল শনিবার বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে দলের পল্টনস্থ প্রধান কার্যালয়ে দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, খোন্দকার জিল্লুর রহমান, কাজী এ.এ কাফী, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, খান আসাদ, শেখ এ সবুর, শহুদুল হক ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান ও ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
এদিকে, গতকাল বিকেলে কামরাঙ্গীরচরস্থ মাদরাসায় এক সভায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কাশ্মীরের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। মহানগরী আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Hamid Ullah Ullah ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
মন্ত্রীরা সবাই নিজের গদিকে ঠিক রাখার জন্য নিজের ঐতিহ্য ও স্বাধীনতা, সর্বভূমত্য, ইসলাম সব কিছুকে বিসর্জন দিতেছে, এদের উপর ভরসা করে দেশ তাদের হাতে রাখা উচিত নই,রুগ্ন কাদেরদের উপর দেশ নিরাপদ নই,
Total Reply(0)
Anwar Hossain ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
ওরা তো দালাল
Total Reply(0)
Shamsuddin Patowary Shamsu ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৩ এএম says : 0
এগিয়ে জান জনগন আছে আপনাদের পাশে
Total Reply(0)
Ali Akbar ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৪ এএম says : 0
ওরা ... মন্ত্রী। খমতার লোভে ধর্ম বর্ন কিছু ই নেই তাদের মাজে। তাদের সুদু একটাই কাজ ভারতের দালালী করে খমতায় তাকা।।ওরা মুসলিম নামের নিকৃষ্ট প্রানী।
Total Reply(0)
আমি এক মুসাফির ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ১:২৫ এএম says : 0
এই জালেমদের কাছ থেকে এর চাইতে বেশি কি আর আশা করা যায়??
Total Reply(0)
Modon Roy ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ৯:১৫ পিএম says : 0
বাংলাদেশের 99% মিয়া জালেম
Total Reply(0)
Modon Roy ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ৯:২৩ পিএম says : 0
বাংলাদেশের 99% মিয়া জালেম
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন