কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। গতকাল শনিবার এ খবর ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবার বলছেন, প্রেমের বিষয়ে আগ থেকে তারা কিছু জানেন না। এমনকি আদিত্য ও সেতুর মধ্যে আগে থেকে পরিচয়ও নেই বলে উভয় পরিবারের দাবি। তাহলে দু’জনেই একই জায়গায় কিভাবে ট্রেনে কাটা পড়লো? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে পুরো জেলা ও সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গত শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে আদিত্য (১৩) ও সেতু (১৪) নামের দুই শিক্ষার্থী জেলার আদর্শ সদর উপজেলার বদরপুর এলাকায় রেলসেতুর দক্ষিণ অংশে এক দুর্ঘটনা নিহত হন তারা। নিহত স্বপ্নীল হক আদিত্য বাসা শহরের শাসনগাছা এলাকার মনিরুল হকের ছেলে এবং সেতু রায় শহরের ধর্মপুর এলাকার সুবল রায়ের মেয়ে। আদিত্য কুমিল্লা পুলিশ লাইন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সেতু রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
সেতু রায়ের মা গোলাপী রানী রায় দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, তার মেয়ে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে সেতু মারা গেছে বলে তিনি খবর পান। নিহত আদিত্যের সঙ্গে সেতুর কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না, তিনি জানেন না। অপরদিকে স্বপ্নীল হক আদিত্যের বাবাও একইরকম বক্তব্য দেয়। তিনি বলেন, প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয় পরে তার মৃত্যুর খবর পাই। সেতুর সঙ্গে কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না, তা আমার জানা নেই। পুলিশ জানায়, নিহত দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে, না ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন