শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ৮:২৯ পিএম

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দুটি যুদ্ধ রেখে গেছেন। একটি যুদ্ধ তিনি করে গেছেন, যেটা রক্তাক্ত যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩০ লাখ শহীদ, পরে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যার মাধ্যমে শেষ হয়েছে। আরেকটি যুদ্ধ সোনালী যুদ্ধ। এর দায়িত্ব আগামী প্রজন্মের। বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছেন, তা বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করতে হবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে (আইডিইবি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজের স্মৃতিচারণ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ৪ বার কাছ থেকে সুযোগ হয়েছে। একবার শ্রীমঙ্গলের আলতাফুর রহমান চৌধুরী ও আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে চাই। তখন তিনি আলতাফ সাহেবকে বঙ্গবন্ধু বললেন, ইলিয়াস আমার কাজটা করে দিল না। এই ইলিয়াস ছিল, শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও দেশের মানুষের প্রতি কতো ভালোবাসা থাকলে এভাবে কথা বলতে পারেন।

পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রতি অবহেলার স্মৃতিচারণ করে বলেন, যখন অডিট রিপোর্ট করতে পাকিস্তানে যেতাম তখন বাংলাদেশি হওয়ায় চেয়ারে বসতে চেয়ার দেয়া হতো না। একটা টিনের ট্রাংক দেয়া হতো বসতে। আরেকটা দেয়া হতো, অপিট রিপোর্ট লেখার জন্য।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হতো তাহলে মানুষের মন থেকে তিনি হারিয়ে যেতেন। ওই চক্রটি হিসেবে ভুল করেছে। এই পৃথিবী যতোদিন থাকবে, ততোদিন তিনি আমাদের মাঝে চিরস্মরণী করে দিয়েছে। যতোদিন পৃথিবীতে সূর্য থাকবে ততোদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে দীপ্তিময় হয়ে থাকবে।

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জীবনে ডেঙ্গু ছাড়া অন্যকিছু আমাকে কাবু করতে পারেনি। বাজেটের দুই দিন আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হই। বাজেটের দিন জ্বর দিয়ে সংসদে যাই। কিন্তু বক্তৃতা দেয়ার সময় ৭ মিনিট আমার জ্ঞান ছিল না। ওই সময় কী হয়েছে, না হয়েছে তা এখনো মনে করতে পারি না।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরও মোশতাক ও মীর জাফরদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা চালায়। ১৫ ও ২১ আগস্টের হামলা একই ধারাবাহিকতার অংশ। সেই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। ষড়যন্ত্র রুখতে সতর্ক থাকতে হবে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে জন এফ কেনেডিকে ১৯৬৩ সালে হত্যার পর এক সপ্তাহের মাথায় কমিশন গঠন করা হয়। পরে ওই কমিশনের রিপোর্ট আমেরিকার জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ইন্ধিরা গান্ধী, রাহুল গান্ধীকে হত্যার পরও কমিশন গঠন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও পরবর্তীতে তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে অনুপুঙ্খভাবে জনগণকে জানানো উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ওনার (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) অসমাপ্ত কাজ আমাদের করতে হবে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দেশপ্রেম ও সততা নিয়ে কাজ করলে বঙ্গবন্ধু চিরকাল বাংলার মাটিতে বেঁচে থাকবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এনবিআরের কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা অণুবিভাগের সদস্য কালিপদ হালদার, শুল্ক রফতানি ও বন্ড অণুবিভাগের সদস্য সুলতান মো. ইকবাল প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন