মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাশ্মীরে তিনজন নিহত সরকারের অস্বীকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে ভারত সরকার দাবি করলেও পুরো উপত্যকা যে এখনও অবরুদ্ধ সে খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে। মানুষ কিছুটা বিক্ষোভ দেখাতে চাইলেও ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। এএফপি বলছে, গত ৫ আগস্টের পর কাশ্মীরে একাধিক মৃত্যুর কথা জানতে পেরেছে তারা। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল হুরিয়াত মানুষকে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার ডাক দিলেও কড়া নিরাপত্তার কারণে তা সেভাবে হয়নি। বিবিসি জানাচ্ছে, কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের পর সেখানকার চার শতাধিক নেতাসহ চার হাজারের বেশ মানুষ এখন আটক রয়েছেন। গত ৪ আগস্ট রাতে কাশ্মীরে কারফিউ জারি হওয়ার পর নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কোনো মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি বলে দাবি মোদি সরকারের। তবে সরকারি এই দাবির বিপরীত তথ্য দিচ্ছে এএফপি। সংবাদ সংস্থাটি জানাচ্ছে, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছে তারা। শ্রীনগরে নিজের ঘরে ছোট বাচ্চাদের পড়াচ্ছিলেন রফিকের স্ত্রী ফাহমিদা। বাইরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছিল। হঠাৎই জানলার কাচ ভেঙে কাঁদানে গ্যালের শেল ঘরে এসে পড়ে। প্রচÐ শব্দ করে ফাটে সেটি। স্বামী রফিক বলছে, ছোট বাচ্চাদের নিরাপদে ঘর থেকে বের করে আনা হয়। তবে ফাহমিদা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মোটরসাইকেলে করে হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান তিনি। হাসপাতালের দেয়া মৃত্যু সনদে (ডেথ সার্টিফিকেট) কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ‘বিষাক্ত কাঁদানে গ্যাস ফুসফুসে ঢুকে মারা গেছেন।’ উসাইব আহমেদ নামে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরও নিহত হয়েছে। পুলিশের তাড়া থেকে বাঁচতে প্রাণপণে দৌড়ানোর সময় নদীতে পড়ে মৃত্যু হয় তার। পাঁচ ঘণ্টা পর নদী থেকে তার লাশউদ্ধার করে পরিবার। তবে তার লাশ দাফন করতে বাধা দিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের তাড়ায় নিহত উসাইব আহমেদেরে এক আত্মীয় এএফপিকে জানান, শেষকৃত্যের আগে তার লাশকেড়ে নিতে এসেছিল পুলিশ। তাদের যুক্তি ছিল, শেষকৃত্যে বিক্ষোভ হতে পারে। প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার যে ঘটনা ঘটে তা করে ম‚লত কাশ্মীরের কিশোররা। নিজের বাড়ির ম‚ল ফটকের সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন ৬২ বছর বয়সী মোহম্মদ আয়ুব খান। কাঁদানে গ্যাসকে নিঃশ্বাসের সঙ্গে নেয়ার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে মৃত্যু হয় তার। হাসপাতালে নেয়া হলে জানা যায়, আয়ুব খান আর নেই। তার শেষকৃত্যে মাত্র ১০ জন ছিলেন। পুলিশ গাড়িতে করে তার ওই স্বজনদের কবরস্থানে নিয়ে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ডেথ সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারেনি আয়ুব খানের পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, পুলিশের নিষেধ আছে। বিবিসি, রয়টার্স।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন