শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মহেশ খালে সুরম্য ভবনসহ ৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পানিবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সুরম্য ভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। গতকাল মহেশ খাল এলাকায় -মনিরুদ্দীন হাসান


নগরীর মহেশ খালের ওপর গড়ে ওঠা সুরম্য ভবনসহ ৮১টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১৪টি পাকা, ১৮টি সেমিপাকা, ৩২টি টিনশেড, ১১টি কাঁচা ঘর এবং ৬টি বাউন্ডারি ওয়াল। গতকাল রোববার উচ্ছেদ কার্যক্রম চলাকালে এসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।
পানিবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের আওতায় চৌকস ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের (৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) সহায়তায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী চট্টগ্রামের আরেক দুঃখ মহেশ খালে এ উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

চলতি মাসে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ম্যাজিস্ট্রেট সহযোগে সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় নগরীর বির্জা খালের ওপর গড়ে ওঠা তিনটি পাঁচ তলা ভবনের অবৈধ অংশসহ গুঁড়িয়ে দেয়া হয় ৪০টি স্থাপনা। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের পর খালটির দুই কিলোমিটার জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। গত মাসে ‘চট্টগ্রামের দুঃখ’ চাক্তাই খাল, চশমা খালসহ বিভিন্ন খাল, ড্রেনেজ সিস্টেমের ব্যাপক অংশ দখলমুক্ত করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগরীর খাল পুনরুদ্ধার ও পানিবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে সিডিএ’র ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে বহুল আলোচিত মেগাপ্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীকে। বিগত ৯ এপ্রিল’১৮ইং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং সিডিএর মধ্যকার চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর নগরীর খালগুলো উদ্ধার, বর্জ্য-আবর্জনা পরিষ্কার, উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করে। মেগাপ্রকল্পের আওতায় ২০২০ সাল নাগাদ চট্টগ্রাম মহানগরীর তিনশ’ কিলোমিটার ড্রেন সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণ, ৩৬টি খাল-ছরা খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পানিবদ্ধতার গুরুতর সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে খাল-ছরা, নালা-নর্দমাগুলো অবৈধ দখল ও ভরাটকে দায়ী করে আসছেন নগর পরিকল্পনাবিদগণ ও নাগরিকমহল। এরজন্য ব্যাপক উদ্ধার কার্যক্রম এবং সংস্কারের দাবি দীর্ঘদিনের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন