মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স ভবন

বকেয়া টাকা আদায়ের তাগিদ সংসদীয় কমিটির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স ভবনের ইজারাদারের কাছে পাওনা সোয়া কোটি টাকা দ্রুত আদায়ের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল রোববার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কমিটির রাজাকারদের তালিকা দ্রুত চূড়ান্ত করার তাগিদ দিয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মইন উদ্দীন খান বাদল, রাজি উদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এ বি তাজুল ইসলাম ও কাজী ফিরোজ রশীদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

একই বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তি রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স ভবনের বেজমেন্টে গাড়ি পার্কিংয়ের ইজারাদারের কাছে পাওনা এক কোটি ১৯ লাখ টাকা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে জানান সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। তিনি বলেন, ওখানে যেন একটা লুটপাটের রাজত্ব চলছে। ইজারাদারের কাছে পাওনা টাকা এক মাসের মধ্যে আদায় করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই সংসদীয় কমিটি বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সম্পত্তিতে নির্মিত এই ভবনসহ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ‘টাওয়ার-৭১ ও জয় বাংলা বাণিজ্যিক ভবন-এ অনিয়ম পায়। ওই বৈঠকে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স ভবনের বেজমেন্ট গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ইজারা নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এরপর কমিটির সদস্যরা ওই শপিং কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন। পার্কিংয়ের জন্য ভাড়া নিয়ে ওই ভবনের বেজমেন্টে গুদাম নির্মাণ করার তথ্যও পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে ওই সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিদর্শন ও বধ্যভূমি সঠিকভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে একাত্তরে খুন, ধর্ষণ, নির্যাতন, লুণ্ঠনে যে সব বাঙালি বেতন নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা করেছিল, তাদের তালিকা সংগ্রহের সুপারিশ করা হয়। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়। এরপর গত ২৬ মে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও শান্তি কমিটির সদস্যদের তালিকা সংগ্রহ করে তা রক্ষণাবেক্ষণে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়কে আধা সরকারি (ডিও) চিঠি পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ জানানো হয়েছে, রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নে ইতোমধ্যে সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন