দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যেন অস্থিরতা চলছে। বিভিন্ন ফেডারেশনের সাবেক ও বর্তমান দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উঠছে নানা অভিযোগ। সাম্প্রতিক সময়ে টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনীর ও স্কোয়াশ এন্ড র্যাকেট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হামিদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠলে যেন নড়েচড়ে বসে উশু ফেডারেশন। তারাও তাদের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে দেশের ক্রীড়া প্রশাসনকে।
বাংলাদেশ উশু ফেডারেশনের যখন অ্যাসোসিয়েশন ছিল তখন প্রায় আড়াই বছর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন মেজবাহ উদ্দিন। দায়িত্বকালে তিনি এই ফেডারেশনের লাখ লাখ টাকা লোপাট করেছেন বলে মেজবাহ’র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন উশুর বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: দুলাল হোসেন। তিনি বলেন,‘২০১০ ঢাকা সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের সময় আড়াই বছরে কয়েক লাখ টাকা লোপাট করেছেন মেজবাহ। আর এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফেডারেশনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। যে কারণে আমরা ইতোমধ্যে তাকে দু’টি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।’
২ সেপ্টেম্বর ২০০৭ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল পর্যন্ত তৎকালীন উশু অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন মেজবাহ। একই সময়ে ঢাকা এসএ গেমসে খেলেও স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। অ্যাসোসিয়েশনের একজন কর্মকর্তা হয়ে কিভাবে গেমসে অংশ নেন মেজবাহ এ নিয়ে তখন বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। তাছাড়া ওই সময়কালের কোন হিসাব মেজবাহ অদ্যবদি দেননি বলে অভিযোগ করেন দুলাল। তার কথায়, ‘ওই সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও চীন থেকে উশু প্রায় আড়াই কোটি টাকার মূল্যবান ক্রীড়া সামগ্রী পেলেও আজ পর্যন্ত তার কোন হদিস নেই। ঢাকা এসএ গেমসের সময়ও ক্রীড়া সরঞ্জাম ক্রয় করে তার কোন হিসাব দেননি মেজবাহ। আমরা হিসাব চেয়েও তার কাছ থেকে পাইনি।’
দুলাল আরো বলেন,‘ ফেডারেশনের চারটি ভিডিও ক্যামেরা, ১২টি ফ্যান ও ডিজিটাল স্কোরবোর্ডের কোন হদিস নেই। উশুর অনেক ক্ষতি করেছেন তিনি। তাছাড়া শৃংখলা ভঙ্গের কারণে নানা সময়ে বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন, সেনাবাহিনী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন। তারপরও বেশ কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের নিয়ে বিষোদাগার করছেন মেজবাহ।’ তিনি যোগ করেন, ‘ উশু থেকে বহিষ্কার হয়ে এখন নানাবিধ খেলায় যুক্ত হয়ে নিজের ভাবমূর্তি ফেরানোর চেষ্টায় লিপ্ত মেজবাহ। তাই খুব শিগগিরই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হবো।’
অভিযুক্ত মেজবাহ বলেন, ‘এতদিন পর ১০/১২ বছর আগের দূর্নীতির কথা তুললে সত্যিই খারাপ লাগে। তাছাড়া আমি ২০০৯ সালে কোষাধ্যক্ষ পদ ছেড়ে খেলায় ফিরেছিলাম।’ এ বিষয়ে দুলাল হোসেন বলেন, ‘যদি মেজবাহ ২০০৯ সালে কোষাধ্যক্ষ পদ ছেড়ে থাকেন, তাহলে সেই রেজুলেশন আমাদেরকে দেয়া হোক। সে রকম কোন রেজুলেশন ক্রীড়া পরিষদসহ কোথাও নেই। তিনি মিথ্যা কথা বলছেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন