বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে ৯০টি ‘গ্রিন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি)’ সনদপ্রাপ্ত কারখানা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর। তিনি বলেন, এসব গ্রিন কারখানার মধ্যে ২৪টি এলইইডি প্লাটিনাম ক্যাটাগরির।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘টেকসই পরিবেশ ও স্বীকৃতি সনদ’ বিষয়ক অংশগ্রহণমূলক সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান। ওসামা তাসীর বলেন, সারাবিশ্বে আবাসিক খাতে বিদ্যুতের প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যবহৃত হয়, যেখানে আমাদের দেশে এর পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ। এমন বাস্তবতায় ‘গ্রিন বিল্ডিং’ নির্মাণের বিষয়টি পৃথিবীজুড়ে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে।
বাংলাদেশে ‘গ্রিন বিল্ডিং, প্রযুক্তি ও পণ্য’-এর ব্যবহার বাড়াতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় বাড়ােেনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। গ্রিন প্রযুুক্তি ও পণ্যের ওপর স্বল্প হারে শুল্কারোপ এবং স্বল্প সুদে ঋণ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি। সংলাপে বিভিন্ন খাতের ৫০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এনার্জি সলভ্ ইন্টারন্যাশনাল (প্রাইভেট) লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মাহেন্দ্রা জয়ালাথ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
এতে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের গ্রিন ভবন নির্মাণের দিকে মনোযোগী হতে হবে। বিশেষত শিল্পে পরিবেশবান্ধব ভবন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা করবে। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। স্টেকহোল্ডার ডায়ালগে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আশরাফ আহমেদ, দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, খন্দ. রাশেদুল আহসান, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, ইঞ্জি. মো. আল আমিন, মো. রাশেদুল করিম মুন্না, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, শামস মাহমুদ এবং এস এম জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন