শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মালিবাগ ফ্লাইওভারে পাঠাও চালক খুন

মোটরসাইকেল-মোবাইল ফোন ছিনতাই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

রাজধানীর শাজাহানপুর থানাধীন মালিবাগে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’য়ের এক চালককে গলাকেটে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম মিলন (৩৫)। গত রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মালিবাগ ফ্লাইওভারের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মারা যান তিনি।

জানা গেছে, স্ত্রী শিল্পী বেগম এবং এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মিরপুর-১ এর গুদারাঘাট এলাকায় থাকতেন মিলন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা। বাবার নাম আবুল কালাম। এ ঘটনায় তার স্ত্রী শিল্পী বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

শাহাজানপুর থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেন, মৌচাকের একটু পর পদ্মা ডায়াগনেস্টিক সেন্টার বরাবর ফ্লাইওভারের তৃতীয় তলা থেকে রাত আড়াইটার দিকে ওই পাঠাই চালক গলা ধরে চিৎকার দিতে দিতে নিচে নামেন। এ সময় তিনি সেখানে টহলে ছিলেন। রক্তাক্ত অবস্থায় মিলনকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। সেখানে তার গলায় সাতটি সেলাইয়ের পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে হৃদরোগ হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর পুলিশসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত যোগার করে রাতেই রক্ত দেয়া হয় তাকে। পরে চিবিৎসাধীন অবস্থায় ভোর পৌনে ৬টার দিকে মারা যান তিনি।

পাঠাও অফিসের তথ্যের বরাতে এসআই আতিক বলেন, মিলনের শেষ কল ছিল ৭ আগস্ট। হয়তো এর মাঝে সে পাঠাও চালায়নি অথবা চালিয়ে থাকলেও অ্যাপস ছাড়াই যাত্রী পরিবহন করেছে। ঘটনার পর তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উধাও। ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীবেশে ছিনতাইকারীরা এন্টি কার্টার দিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারে সিসি ক্যামেরা আছে কি না, সেগুলো আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।

এসআই আতিকুর রহমান বলেন, পাঠাওসহ অন্যান্য রাইড শেয়ারিং চালকদের অ্যাপসের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিংয়ের কথা থাকলেও অনেকে চুক্তিতে মোটরসাইকেল চালান। এতে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকে। আবার এতো রাতে নিচের রাস্তা ফাঁকা থাকা সত্তে¡ও মিলন ফ্লাইওভারের তৃতীয় তলা দিয়ে কেন গেলেন- সে সব বিষয় নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সম্ভব্য সব বিষয়ের আলোকে ঘটনা তদন্ত চলছে।

নিহতের বন্ধু সিরাজ বলেন, রোববার রাত ২টা ১২ মিনিটের দিকে মিলনের সঙ্গে তার এক বন্ধুর মুঠোফোনে কথা হয়। মিলন তাকে জানায়, সে মালিবাগ সিআইডি অফিসের সামনে প্যাসেঞ্জার নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এ ঘটনা শুনতে পাই। তিনি বলেন, মিলন তার বাবা-মার একমাত্র ছেলে। মিলনের পাঁচ বোন রয়েছে। তিনি সবার বড়। তার বাবা আগে রিকশা চালাতেন। মিলনও আরেকটি চাকরি করতেন। ৬/৭ মাস ধরে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পাঠাও চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (12)
Salahuddin Roni ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:০৯ এএম says : 0
আল্লাহ তাকে জান্নাত নচিবকরুন আমিন
Total Reply(0)
reja khan ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
সামান্য জিনিসের জন্য মানুষ হত্যাকারী, এ সমস্ত ভয়ংকর দুর্বৃত্ত ছিনতাইকারীদের ক্রসফায়ারে দিলে অনেকের আবার আহাজারি শুরু হয়ে যায়।
Total Reply(0)
S.M. Ahsanul Haque ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
লোকটির প্রতি আমি সহানুভূতিশীল, তারপরেও আমি বলবো এখানে মুল ভুলটা তার। ইদানীংকালে দেখি বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ রাস্তার মোড়ে মোটরসাইকেলগুলো দাঁড়িয়ে থাকে, আর এপস ছাড়া ভাড়ায় যেতে চায় এপসগুলোর কাছ থেকে কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য। কিন্তু এপসগুলো যে নিরাপত্তা দেয় সেটা থেকে যে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন সেটা একবারো ভেবে দেখেন না। একই কথা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এইসব যাত্রীদের কারণে বাংলাদেশে কোন ভালো সিস্টেম টিকে থাকতে পারে না, তারা ঠিকই সিস্টেমকে পাশ কাটিয়ে একটা ধান্দাবাজি বের করে ফেলে। সিএনজি অটোরিকশাকে কত কাহিনী করে সরকার মিটারে নিয়ে আসলো, তারপর এই যাত্রীরা ১০-২০ টাকা বাড়ায়ে দিতে দিতে এখন পুরা সিস্টেমটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এই বেচারা রাত ২-৩ টার দিকে অপরিচিত একজন মানুষকে তার পেছনে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, একবারও ভাবেননি, আমার যদি কোন বিপদ হয় এই লোকটাকে কিভাবে ধরা যাবে। যাই হোক, বেচারার আত্মা শান্তি পাক, তার পরিবারকেও আল্লাহ সাহায্য করুন। আর অন্যয় সবাইও সতর্ক হয়, অল্প কয়টা টাকা বেশি পাওয়ার জন্য নিজের জীবনকে এভাবে হুমকির মুখে না ফেলি।
Total Reply(0)
রুদ্র নাহিদ ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
যেই দেশের সরকার প্রধান জনগণের অধিকার চিন্তাই করে জগদ্দল পাথরের মত ক্ষমতায় ঠিকে থাকে, সেই দেশে এইরুপ ঘটনা ঘটাতে থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
The sad story of our medical service. In a hospital they could not stop bleeding, they needed to send him to another hospital? What these doctors are for? Why they did not know what doctors in the other hospital may have known? They killed him by playing ball with him!
Total Reply(0)
Mohammad Saifuln Islam ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
হৃদয়বিদারক! সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হোক!
Total Reply(0)
শাহাদাত হোসাইন সুজন ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
কি বলবো! কোথায় বাস করছি আমরা!
Total Reply(0)
Ahsan Aziz ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
কী মর্মান্তিক! মানুষ এত নির্দয় হয় কিভাবে!
Total Reply(0)
Ridouanul Hoque ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
এধরণের হত্যাকান্ড বেশীরভাগ মাদকসেবিরা সংগটিত করে থাকে, মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করার জন্য।
Total Reply(0)
মারুফ ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
যে গল্পগুলো আগে থ্রিলার বইতে পাওয়া যেত তা এখন নিয়মিত পত্রিকার পাতায় আসছে।ধীরে ধীরে আমরা একটি অপরাধ সহনীয় জাতিতে পরিণত হচ্ছি।অনুকরণীয় মানুষগুলো যখন অনর্গল মিথ্যা বলতে থাকেন তখন মানুষের ভেতরে এক সহজাত অপরাধ প্রবণতা তৈরী হয়।।
Total Reply(0)
S K Suman ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
যারা এভাবে এপ্স ছাড়া যাবেন বিষয়টি ভেবে দেখবেন এপ্স ছাড়া যাবেন নাকি সোহো যাবেন। আমাদের এ ক্ষত্রে সচেতন আরো আরো হতে হবে। আল্লাহ উনাকে ভালো রাখুন আর উনার পরিবারকে কে শক্তি দিন।
Total Reply(0)
Sohel S.parvez ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
এইগুলি তো পড়া যায় না!!ছোটখাটো লোভে কত বড় সর্বনাশ যে হয়!aps ব্যবহার করলেই আর এরকম হতো না।হয়তো খুনি ধরা পড়বে,বিচার হবে।ছেলেটি তো ফিরে আসবে আসবে না।আহা
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন