ফালুজায় ৯০ হাজার বেসামরিক লোক আটকা পড়েছে
ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বাণিজ্যিক এলাকার একটি রাস্তায় এবং বাগদাদের উপকণ্ঠে সেনাবাহিনীর একটি তল্লাশি চৌকিতে হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অনেক। গত বৃহস্পতিবার পৃথক দুটি বোমা হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিস্ফোরকভর্তি একটি প্রাইভেটকার বাগদাদের আল-জাদেদা এলাকায় বিস্ফোরিত হয়। এতে ২১ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। অপরদিকে, বাগদাদের উত্তরাঞ্চলের তাজি এলাকায় প্রাইভেটকারসহ এক আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে সাতজন নিহত ও ২০ জনের বেশি আহত হয়েছে। আল-জাদেদা এলাকার বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে জিহাদি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। তবে সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি।
ইরাকের সেনাবাহিনী ফালুজা শহর থেকে আইএস হটাতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। পাল্টা হামলা চালাচ্ছে জিহাদিরা। ফালুজায় যখন যুদ্ধের ডামাডোল বাজছে ঠিক তখন ইরাকের বিভিন্ন স্থানে প্রতিশোধাত্মক হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার কোনোটির দায় নিচ্ছে আইএস, কোনোটির দায় নিচ্ছে না কেউ। জাতিসংঘের সবশেষ হিসাবমতে, ফালুজায় ৯০ হাজার বেসামরিক লোক আটকা পড়ে আছে। প্রথমে এ সংখ্যা বলা হয়েছিল ৫০ হাজার। ইরাকে জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য-সমন্বয়ক লিস গ্রান্ডে জানিয়েছেন, ফালুজায় বেসরকারি লোকজন চরম বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে।
যারা ফালুজা থেকে আসতে সমর্থ হচ্ছে, তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার বেসামরিক লোক আটকা পড়ে আছে। এর আগে খবরে বলা হয়েছিল, ফালুজাতে ইরাকি সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানের কড়া জবাব দিচ্ছে আইএস।
উভয় পক্ষের লড়াইয়ে সেখানকার অধিবাসীরা আটকা পড়ে মানবিক বিপর্যয় ঘনিয়ে আসছে বলে সতর্ক করেন এক ত্রাণ কর্মকর্তা। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব জেন জিল্যান্ড বলেন, ফালুজায় মানব জাতির জন্য ভয়ঙ্কর এক বিপর্যয় থাবা বিস্তার করছে। সেখানকার বেসামরিক নাগরিকরা দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের মধ্যে পড়ে গেছে এবং তাদের বের হওয়ার নিরাপদ কোনো পথ নেই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, খুব বেশি দেরি হওয়ার আগেই বিবদমান পক্ষগুলোকে এখনই বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। আল-জাজিরা, বিবিসি, রয়টার্স।
তিউনিসীয় ৭শ’ নারী আইএসে
ইনকিলাব ডেস্ক : পৃথিবীর অনেক দেশ থেকেই লোক নিয়োগ করেছে ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক জিহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। তিউনিসিয়া থেকেও প্রায় ৫ হাজার মানুষ গিয়ে ভিড়েছে তাদের দলে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে এদের মধ্যে ৭শ’ জনই নারী। এই নারীরা লিবিয়ার মত পার্শ্ববর্তী দেশে ভ্রমণের নামে হুট করেই পরিবার পরিজন ত্যাগ করে গিয়ে যোগ দেন আইএসে। পালিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছেন এমন এক মেয়ের মা ওলফা হামরানি বলেছেন, আমার সন্তান চলে যাওয়ার পরে ঘরে আর হাসি নেই। আমার মরে যেতে ইচ্ছা করে। আমার আরও দুই মেয়ে আছে, তারা না থাকলে হয়তো মরতাম। হামরানির এক মেয়ের বিয়ে হয়েছিল আইএসের এক যোদ্ধার সাথে। গত বছর তিউনিসিয়ায় পর্যটকদের উপরে চালানো এক হামলায় মেয়ের স্বামী জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। তবে হামরানির ঐ মেয়ে আইএসে যোগ দিতে ঘর থেকে পালিয়ে পরবর্তীতে লিবিয়ার ত্রিপোলিতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। গ্রেফতারের সময় তার সাথে তার ৫ মাস বয়সী মেয়ে শিশুও ছিল। হামরানির এখনকার একমাত্র উদ্বেগ হচ্ছে তার ছোট মেয়েকে নিয়ে। সেও নাকি আইএসে যোগ দিতে আগ্রহী। কঠোর বিধি নিষেধের পরও নারীরা কেনো সেখানে যেতে চাইছে সেটা একটা রহস্য। এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন