শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইন্দোনেশিয়া জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপে সরিয়ে নিচ্ছে রাজধানী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:২২ পিএম

রাজধানী পরিবর্তন করে দেশের পূর্বপ্রান্তের জঙ্গলে ঢাকা বোর্নিও দ্বীপে নিয়ে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এ খবর দিয়েছেন।

ঘিঞ্জি, ঘনবসতিপূর্ণ ও জলাভূমির মহানগর জাকার্তা থেকে রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্র অন্যত্র সরিয়ে নিতে চাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার।-খবর এএফপির

বর্তমানে প্রস্তাবিত জায়গা হচ্ছে- আঞ্চলিক শহর বালিকপাপান ও সামারিন্দার কাছাকাছি এলাকা। যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ন্যূনতম ঝুঁকি নেই বলে খবরে বলা হয়েছে।

টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে উইদোদো বলেন, সরকার ইতিমধ্যে এক লাখ ৮০ হাজার হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করেছে। জায়গাটি খুবই কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে এবং শহরাঞ্চলের কাছাকাছি অবস্থিত।

তিনি আরও বলেন, সরকার পরিচালনা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবাকেন্দ্র হিসেবে জাকার্তার কাঁধে বোঝা অনেক ভারী হয়ে গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এ পরিকল্পনা সরকার অনুসরণ করবে বলে বেশ কয়েক মাস ধরেই আলোচনা চলছিল। অর্ধশতকেরও বেশি সময় আগে এ পরিকল্পনার কথাই ভেবেছিলেন ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতার স্থপতি সুকর্নো।

সমস্যা জর্জরিত জাকার্তা থেকে রাজধানী সরিয়ে নেয়ায় জাভাদ্বীপ থেকে ক্ষমতার পাদপীঠও স্থানাস্তরিত হবে। বিস্তৃত দ্বীপপুঞ্জটিতে ২৬ কোটির মতো লোক বসবাস করেন।

জাকার্তাভিত্তিক রাজনৈতিক ঝুঁকি বিশ্লেষক কেভিন ও’রউরকি বলেন, জাভা থেকে রাজধানী সরিয়ে নেয়ায় এই আভাস দিচ্ছে, এতে দেশটির ঐক্য আরও জোরদার করবে। অর্থ ও বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে আগামী কয়েক দশক জাকার্তা মহানগরী হিসেবেই থাকবে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এটির সামনে মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে।

ইউদোদো বলেন, প্রস্তাবিত উদ্যোগ নিয়ে পার্লামেন্টে একটি বিল উপস্থাপন করা হবে।

বিবিসি জানায়, রাজধানী পরিবর্তনের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকারকে ৪৬৬ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ (প্রায় ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) খরচ করতে হবে।

যদিও জাকার্তায় এক ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণেই বছরে একশ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ খরচ হয়ে যায়।

নতুন পরিকল্পনায় যেখানে রাজধানী বানানোর কথা ভাবা হচ্ছে, সেখানে নাগরিক সুবিধা দিতে ব্যাপক এবং বিস্তারিত আকারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।

যা ওই অঞ্চলে বসবাস করা প্রাণীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। বিশেষ করে কালিমানতানে।

বিশ্বের হাতেগোনা যে কয়টি এলাকায় এখনও প্রকৃতিক পরিবেশে ওরাংওটাং বাস করে, তার একটি কালিমানতান।

এদিকে এখানে চিরহরিৎ বন ও ব্যাপক খনি কার্যক্রম চলছে। গ্রিনপিসের ইন্দোনেশিয়ার ক্যাম্পেইনার জ্যাসমিন পুত্রি বলেন, অভয়ারণ্য কিংবা সংরক্ষিত স্থানে যাতে নতুন রাজধানী নির্মাণ করা না হয়, সরকারকে সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন