শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

বাজেটের ব্যাখ্যা দিতে ভোক্তা অধিকার পরিচালক হাইকোর্টে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:৩৩ পিএম

হটলাইন চালুর জন্য ৫০ লাখ টাকা বাজেট চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শামীম আল মামুন উপস্থিত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

গত ২০ আগস্ট ভোক্তাদের জরুরি অভিযোগ শুনতে হটলাইন চালুর জন্য ৫০ লাখ টাকা বাজেট চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হাইকোর্টে তলব করা হয় শামীম আল মামুনকে। ওই তলবের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালতে উপস্থিত হয়েছে তিনি। আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি ওই দিন আদালতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

আইনজীবী কামরুজ্জামান কচি বলেন, হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকার বাজেট চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তখন আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, হটলাইন চালু করতে এত টাকা লাগবে? তাহলে তো এর ব্যাখ্যা জানা দরকার। তখন আদালত সংস্থাটির পরিচালককে তলব করেন।

গত ১৬ জুন এক আদেশের পর অধিদপ্তর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। ৪ জুলাই করা কমিটিতে পরিচালক শামীম আল মামুনকে সভাপতি করা হয়। এরপর ১৪ জুলাই অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (তৎকালীন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা) মো. হারুন-উজ-জামান ভূঁইয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের কাছে হটলাইন স্থাপনের ব্যয় নির্বাহের জন্য ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের অনুকূলে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ প্রদান বিষয়ে একটি চিঠি দেন।

চিঠিতে বলা হয়, 'রিট মামলায় (৫৩৫০/২০১৯) অধিদপ্তরকে ভোক্তাদের সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দুই মাসের মধ্যে একটি হটলাইন স্থাপনের জন্য হাইকোর্ট ১৬ জুন আদেশ দেন। এ আদেশ প্রতিপালনের জন্য পরিচালককে (প্রশাসন ও অর্থ) সভাপতি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।'

এতে আরো বলা হয়, 'কমিটি এরইমধ্যে বিটিআরসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বিটিআরসি থেকে প্রাপ্ত ধারণানুযায়ী হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী একটি হটলাইন স্থাপন করতে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি খাতে দুই লাখ টাকা মাত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা হটলাইন স্থাপনের ব্যয় নির্বাহের জন্য অপ্রতুল। এ অবস্থায় হটলাইন স্থাপনে ব্যয় নির্বাহে জরুরি ভিত্তিতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হলো।'

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন