বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না: আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ৫:৫৬ পিএম

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না এবং বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সরকার গঠনের পর পাকিস্তানের দোসরদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে তারা ছিল। তার মন্ত্রিসভায় যারা ছিলেন তারা পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রিসভাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস আগস্ট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ছিল অভিযোগ করে আনিসুল হক বলেন, বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের হত্যার ক্ষেত্রে টার্গেট ছিলেন সিঙ্গেল। যেমন- রাজীব গান্ধী, ইন্দিরা গান্ধী, মাহাত্মা গান্ধী, স্যালভাদোর অ্যালান, জন এফ কেনেডি, আব্রাহাম লিঙ্কনকে টার্গেট করে তাদেরই হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু বাংলাদেশে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকলকে, এমনকি দশ বছরের রাসেলকেও হত্যা করা হয়। তার কারণ হচ্ছে এরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে। সেটা প্রমাণিতও হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই কন্যার মধ্যে শেখ হাসিনাই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
আইনমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের নেপথ্যের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে বলেন, হত্যাকা-ের পেছনে যাওয়ার সময় এসেছে। নেপথ্যে যারা ছিল, তাদেরকে চিহ্নিত করার সুযোগ এসেছে। সেই সুযোগ ছেড়ে দেব না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারসহ আরও বেশ কয়েকটি বিচারকার্য দেখেছি যেমন-যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং হত্যা মামলার বিচার।
আনিসুল হক বলেন, এখন বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের খুনীদের চিহ্নিত করার জন্য কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। আমরা এই কমিশন গঠন করবো ইনশাল্লাহ। অনেকেই বলেছেন, এই কমিশন দিয়ে অন্যান্য হত্যাকা-গুলোও তদন্ত করার। কিন্তু আমি মনে করি, এই কমিশন শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের নেপথ্যই তদন্ত করা উচিত। এখনো এটার দ্বায়িত্ব, পরিধি নির্ধারণ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যাকারীদের সম্পর্কে জানতে চায় মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম। শুধু ডালিম, ফারুকই এই কাজে জড়িত নয়। এরসঙ্গে জড়িত অন্যদেরও বিচারের আওতায় এনে জাতি কলঙ্কমুক্ত হতে চায়। আমরা সেই প্রহরেরই অপেক্ষা করছি। ২১ আগস্ট ১৫ আগস্টেরই ধারাবাহিকতা। শেখ হাসিনার ওপর বারবার হামলা হলেও খালেদা জিয়ার ওপর কেন হামলা হয়নি? এটা সবাই বোঝে।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব বিএসএমএমইউ’র লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মামুন আল মাহতাবের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, একেএম আতিকুর রহমান, নাসির উদ্দিন আহমেদ, মার্টিন অধিকারী, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমূখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
মোঃ আককাছ আলী মোল্লা ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ৬:১৪ পিএম says : 0
এই কথাগুলো কার কাছ থেকে শুনে বলছেন।মাননীয় মন্ত্রী?
Total Reply(0)
Masud ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:১৯ পিএম says : 0
তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধা না হন তাহলে : ১) তিনি ১১ নং সেক্টর কমান্ডার হইল কেমনে ? ২) তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীরউত্তম খেতাব পাইল কেমনে ? এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিন মাননীয় মন্ত্রী সাব।
Total Reply(0)
Masud ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:১৯ পিএম says : 0
তিনি যদি মুক্তিযুদ্ধা না হন তাহলে : ১) তিনি ১১ নং সেক্টর কমান্ডার হইল কেমনে ? ২) তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীরউত্তম খেতাব পাইল কেমনে ? এই দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিন মাননীয় মন্ত্রী সাব।
Total Reply(0)
Nadim ahmed ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:৩৯ পিএম says : 0
If Ziaur Rahman was not a freedom fighter than who else was the freedom fighter?
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন