কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদে বলেছিলেন এই জনপথ কখনই পূর্বপাকিস্তান ছিলনা,এটা বাংলাদেশ ছিল আমি বাংলাদেশই বলবো পূর্ব পাকিস্তান বলবো না। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর হতে ৯৬ সালের আগ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা নানা ভাবে ইতিহাস বিকৃত করে তার নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর নিকৃষ্টতম হত্যাকাণ্ড। জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রক্ষার জন্য জারী করে কুখ্যাত ইনডিমিনিট অধ্যাদেশ।
আজ (বুধবার) মহানগর নাট্যমঞ্চে ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রী বলনে, ইতিহাস সাক্ষী বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল উদ্দেশ্যে ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা করা। দীর্ঘ ২১ বছরে তারা দেশকে দিয়েছে জঙ্গিবাদ, শোষণ,নিপিরণ, দেশ প্রেম হয়েছিল ভুলন্ঠিত। বাংলাদেশ পেল র্দূনীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রের তকমা।
তিনি আরও বলেন; বাংলার মাটিতে আর কোন ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্ট হতে দিবেনা এদেশের জনতা। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা তেমনি ক্ষমা পাবেনা ১৫ ও ২১ আগস্টের কুশিলবরাও। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য সৈনিক হতে হবে।ছাত্রলীগের তারুন্য দেশসেবায় নিয়োজিত করতে হবে। ছাত্রলীগককে হতে হবে আদর্শবাণ দেশপ্রেমিক, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী।
তিনি আরও বলনে, বঙ্গবন্ধুর আর্দশের পথ ধরে দেশ পরিচালনা করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,দেশকে তিনি করেছেন বিশ্বের উন্নয়নের রোল মডেল। স্বাধীনতা বিরোধীরা ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকতে হবে। শোক দিবসের আলোচনা তখনই সফল হবে যখন বঙ্গবন্ধুর আর্দশ অনুসারে তার দেখানো পথে আমরা চলবো।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান, প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। বিশেষে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোঃ আবু কাওসার, ছাত্রলীগের সভাপতি রেজানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন