বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খালি হাতে ফিরছে নারীরা

সউদীতে নির্যাতিত গৃহকর্মী

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

কতিপয় সউদী নিয়োগকর্তাদের কাছে প্রবাসী গৃহকর্মীরা নিপত্তাহীনতায় ভুগছে। কোনো কোনো নিয়োগকর্তা (কফিল) নারী কর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকার দেয় না। নির্যাতন নিপীড়নের শিকার নারী কর্মীরা বেতন পাচ্ছে না। বেতন চাইলেই কফিল মারধোর করে। কথায় কথায় কফিলের স্ত্রীরাও বেদম প্রহার করে। সোমবার রাতে সউদী আরব থেকে দেশে ফিরে নির্যাতিত নারী কর্মীরা এসব অভিযোগ তুলছে। 

আমিরাত এয়ারলাইন্সের দু’টি ফ্লাইট যোগে ১১১জন প্রবাসী নারী কর্মী খালি হাতে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে। সউদী ফেরত এসব নারী কর্মীদের অনেকের কাছেই বাড়ি ফেরার গাড়ি ভাড়া ছিল না। প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, যারা দেশে ফিরেছেন তাদের বেশির ভাগই নির্যাতিত। অনেকে আছেন সেউদী গেছেন মাত্র তিন মাস হয়েছে তারা কোনো বেতন পায়নি । মানসিক ভারসাম্যহীন ঢাকার পলি বেগমও সউদী থেকে খালি হাতে ফিরেছে।

ঢাকার গেন্ডারিয়ার ডালিয়া বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, অভাবের সংসারের ঘানি টানতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সউদীতে গিয়েছিলাম। কিন্ত সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কফিলের অমানবিক নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে দ্বিতীয় তলার জানালা দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে গুরুতর আহত হয়ে সেইফ হোমে আশ্রয় নিয়েছি। কফিল সাত মাসের বেতন দেয়নি। ওরা প্রবাসী নারী কর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকার টুকুও দেয় না।

খালি হাতে সউদী ফেরত নওগাঁর কল্পনা বেগম বলেন, আমার ডান হাতে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে কফিল। ওখানে ডাক্তারও দেখাতে পারিনি। কাউকে চিনিও না। কত কষ্ট আর নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা বলার ভাষা নেই। একবছর কাজ করছি একটা টাকাও দেয়নি। টাকা চাইলে উল্টো আরো বেশি অত্যাচর করতো। ঐ দেশে কি মানুষ যায় ? এমন প্রশ্ন ছিলো কল্পনা বেগমের।

মুন্সিগঞ্জ জগন্নাথপুরের নাজনীন আক্তার বিমান বন্দর থেকে বের হয়ার পর কোনো স্বজনের দেখা পাননি তিনি। কেউ তাকে নিতেও আসেনি। তিন মাস আগে সে সউদীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন গৃহকর্মীর কাজে। প্রথম মাস থেকেই তার উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। ভেবেছিলেন মানিয়ে নিবেন। কিন্তু কোনো ভাবেই আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দুই মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পায়নি নাজনীন। বেতন চাইলেও চলতো আরো বেশি নির্যাতন। পরে খালি হাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেইফহোমে ছিলেন এক মাস। সোমবার রাতে আমিরাত এয়ারওয়েজ (ইকে-৫৮৪) এর একটি ফ্লাইট যোগে সে দেশে ফিরে। কিন্তু দেশে ফিরে বাড়ির যাওয়ার গাড়ি ভাড়া ছিলো না তার কাছে। পরে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগিতায় তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। তার মতো নির্যাতনের শিকার ১১০ নারী সউদী আরবের রিয়াদ ইমিগ্রেশন ক্যাম্প থেকে দেশে ফিরেছে। এসব নারী কর্মীদের মধ্যে বেশীরভাগই ছিলেন নিঃস্ব।

বরগুনার হেনা আক্তার (৩০) ২০১৮ সালের অক্টোবরে পাড়ি জমিয়েছিলেন সউদী আরবে। প্রথম একমাস ভালো গেলেও এর পরের মাস থেকে শুরু হয় নির্যাতন। একবছরের মতো কাজ করলে কফিল কোনো বেতন দেয়নি। তার অভিযোগ বেতন চাইলেই কফিল গায়ে হাত দিতো। মারধর করতো। ভয়ে আর বেতন চাইনি। পরে পালিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছি।

 

সউদীতে নির্যাতিত গৃহকর্মী খালি হাতে ফিরছে নারীরা
স্টাফ রিপোর্টার : কতিপয় সউদী নিয়োগকর্তাদের কাছে প্রবাসী গৃহকর্মীরা নিপত্তাহীনতায় ভুগছে। কোনো কোনো নিয়োগকর্তা (কফিল) নারী কর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকার দেয় না। নির্যাতন নিপীড়নের শিকার নারী কর্মীরা বেতন পাচ্ছে না। বেতন চাইলেই কফিল মারধোর করে। কথায় কথায় কফিলের স্ত্রীরাও বেদম প্রহার করে। সোমবার রাতে সউদী আরব থেকে দেশে ফিরে নির্যাতিত নারী কর্মীরা এসব অভিযোগ তুলছে।
আমিরাত এয়ারলাইন্সের দু’টি ফ্লাইট যোগে ১১১জন প্রবাসী নারী কর্মী খালি হাতে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে। সউদী ফেরত এসব নারী কর্মীদের অনেকের কাছেই বাড়ি ফেরার গাড়ি ভাড়া ছিল না। প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, যারা দেশে ফিরেছেন তাদের বেশির ভাগই নির্যাতিত। অনেকে আছেন সেউদী গেছেন মাত্র তিন মাস হয়েছে তারা কোনো বেতন পায়নি । মানসিক ভারসাম্যহীন ঢাকার পলি বেগমও সউদী থেকে খালি হাতে ফিরেছে।

ঢাকার গেন্ডারিয়ার ডালিয়া বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, অভাবের সংসারের ঘানি টানতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সউদীতে গিয়েছিলাম। কিন্ত সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কফিলের অমানবিক নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে জীবন বাঁচাতে দ্বিতীয় তলার জানালা দিয়ে লাফিয়ে নিচে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে গুরুতর আহত হয়ে সেইফ হোমে আশ্রয় নিয়েছি। কফিল সাত মাসের বেতন দেয়নি। ওরা প্রবাসী নারী কর্মীদের বেঁচে থাকার অধিকার টুকুও দেয় না।

খালি হাতে সউদী ফেরত নওগাঁর কল্পনা বেগম বলেন, আমার ডান হাতে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে কফিল। ওখানে ডাক্তারও দেখাতে পারিনি। কাউকে চিনিও না। কত কষ্ট আর নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা বলার ভাষা নেই। একবছর কাজ করছি একটা টাকাও দেয়নি। টাকা চাইলে উল্টো আরো বেশি অত্যাচর করতো। ঐ দেশে কি মানুষ যায় ? এমন প্রশ্ন ছিলো কল্পনা বেগমের।

মুন্সিগঞ্জ জগন্নাথপুরের নাজনীন আক্তার বিমান বন্দর থেকে বের হয়ার পর কোনো স্বজনের দেখা পাননি তিনি। কেউ তাকে নিতেও আসেনি। তিন মাস আগে সে সউদীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন গৃহকর্মীর কাজে। প্রথম মাস থেকেই তার উপর চলে অমানবিক নির্যাতন। ভেবেছিলেন মানিয়ে নিবেন। কিন্তু কোনো ভাবেই আর সহ্য করা সম্ভব হচ্ছিলো না। দুই মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পায়নি নাজনীন। বেতন চাইলেও চলতো আরো বেশি নির্যাতন। পরে খালি হাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সেইফহোমে ছিলেন এক মাস। সোমবার রাতে আমিরাত এয়ারওয়েজ (ইকে-৫৮৪) এর একটি ফ্লাইট যোগে সে দেশে ফিরে। কিন্তু দেশে ফিরে বাড়ির যাওয়ার গাড়ি ভাড়া ছিলো না তার কাছে। পরে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগিতায় তাকে বাড়িতে পাঠানো হয়। তার মতো নির্যাতনের শিকার ১১০ নারী সউদী আরবের রিয়াদ ইমিগ্রেশন ক্যাম্প থেকে দেশে ফিরেছে। এসব নারী কর্মীদের মধ্যে বেশীরভাগই ছিলেন নিঃস্ব।

বরগুনার হেনা আক্তার (৩০) ২০১৮ সালের অক্টোবরে পাড়ি জমিয়েছিলেন সউদী আরবে। প্রথম একমাস ভালো গেলেও এর পরের মাস থেকে শুরু হয় নির্যাতন। একবছরের মতো কাজ করলে কফিল কোনো বেতন দেয়নি। তার অভিযোগ বেতন চাইলেই কফিল গায়ে হাত দিতো। মারধর করতো। ভয়ে আর বেতন চাইনি। পরে পালিয়ে দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন