বাংলাদেশে ভারতের আগ্রাসনের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ১০ লাখ ভারতীয় কোন ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই বাংলাদেশে কাজ করছে। বাংলাদেশে যতগুলো হ্যাচারি আছে সমস্ত হ্যাচারিতে বাংলাদেশী কোন চিফ নাই, সব ভারতীয়। যত বিজ্ঞাপনী সংস্থা আছে সমস্তগুলোতে প্রধান ভারতীয়। তিনি বলেন, হিন্দু এবং ভারতীয় আগ্রাসন এক না। এটা সাম্প্রদায়িক কথা না, এটা এখন আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কবি আবদুল হাই শিকদার নজরুল সঙ্গীত শিল্পীদের অবহেলার কথা তুলে ধরে বলেন, নজরুল সঙ্গীত শিল্পীরা আজকে স্পন্সর পায় না, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। নজরুলের ওপর পিএইচডি করার কারণে অনেকে আজকে চাকরি পাচ্ছে না। নজরুল চর্চা করলে ভারতের সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না, সাম্রাজ্যবাদীরা স্কলারশীপ দেবে না। কারণ আমাদের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর প্রত্যেকটির প্রধান হলো ভারতীয়। এজন্য তারা স্পন্সর করে না। মিডিয়াগুলোও তাদের গুরুত্ব দেয় না। কারণ মিডিয়া, পত্রিকা, চ্যানেল দু’একটা বাদ দিয়ে সবগুলো ভারতের পায়ের তলায় পড়ে আছে। বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার সঙ্গে এরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুইভাবেই জড়িত। এই রকম পরিস্থিতিতে নজরুল চর্চা করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ভুটানের চেয়েও নিচে নেমে গেছে মন্তব্য করে আবদুল হাই বলেন, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এখনো বলেনি ভারত-কাশ্মির ইস্যুতে তাদের ভূমিকা কি হবে। আর আমাদের দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ভারত-কাশ্মির ইস্যুতে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকবে। অথচ অমর্ত্য সেন বলছে, সেখানে গণতন্ত্র, মানবতা সমস্ত কিছু ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় হিসেবে আমি গর্ববোধ করি না। অরুন্ধতী রায়রা মানুষ। সেই মানুষদের সাথে আমাদের সম্পর্ক করতে হবে।
জাসাসের সভাপতি ড. মামুন আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক নায়ক হেলাল খান, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক নাসিম আহমেদ, রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন