চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার মাঠে মাঠে রোপা আমন চাষাবাদের ধুম পড়েছে। জমি তৈরি ও ধানের চারা রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। গেল বোরো মৌসুমে চাষাবাদে খরচের তুলনায় ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চাষিদের মাঝে হতাশা রয়েছে। উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে চাষিরা। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার আইরমঙ্গল, হলিদিয়াপাড়া, বারশত, বোয়ালিয়া, চুন্নাপাড়া, বরুমচড়া, রায়পুর গ্রামের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে মাঠে শুরু হয়েছে আমনের চারা রোপণের কাজ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জমিতে চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে।
আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যেই অবশিষ্ট জমিতে চারা রোপণ শেষ হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। তারা জানান, ধান উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। কিন্তু ধানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা। গেল বোরো মৌসুমে ধানের দর অনেক কম ছিল। তাদের খরচ উঠে আসেনি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কৃষিবিদরা। অধিক ফলনের আশায় এ উপজেলার কৃষকরা এবার স্থানীয় জাতের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমিতে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ধানের চারা রোপণ করছেন। এসব জাতের মধ্যে রয়েছে উফশী-৩০,৩২,৩৩,৩৯,৪২,৪৯,৫১,৫২,৭১,৮৬ ও ৮৭। দীর্ঘদিন খরা ও প্রচন্ড তাপমাত্রায় জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে কৃষক আমন চাষ নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে টানা ভারী বর্ষণে কৃষি জমি চাষাবাদের উপযোগী হয়েছে। উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম বলেন,যেভাবে খরা চলছিলতাতে তারা আমন চাষের আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। আল্লাহর রহমতে হঠাৎ পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হওয়ায় আমন চাষাবাদে আর কোনো বাধা নেই। এদিকে খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে এ উপজেলায় এবার আউশ চাষাবাদ তেমন হয়নি। শুধুমাত্র ১ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়। অথচ বিগত বছরগুলোতেএ উপজেলায় আউশ চাষাবাদ হয়েছে ৩ থেকে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন