বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যাংকের খেলাপি ঋণ গ্রহীতাদের মূল ঋণের টাকার ২ শতাংশ এককালীন জমা দিয়ে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরের কিস্তি সুবিধার সুযোগ পাচ্ছে না ঢাকা ব্যাংক বগুড়া শাখার গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে শাখাটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিজিওনাল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে।
বিভিন্ন ঋণ গ্রহীতাদের ভাষ্যমতে জানা যায়, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী আবেদন করতে গেলে ব্যাংকটির ম্যানেজার ফারুক আহম্মেদ আবেদন গ্রহণ করেননি। তারা বলেন, প্রাণপণ চেষ্টা করে তারা ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে চাইলেও ব্যাংক ম্যানেজারের অসহযোগিতায় তারা তা পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে তাদের সিকিউরিটি চেক ব্যবহার করে চেক ডিজঅনারের মামলা করে চরম ভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে শাহাবুল আলম পিপল নামে একজন বলেন, তার নামে ৩টি চেক ডিজঅনারের মামলা ও একটি অর্থঋণ আদালতে মামলা করা হয়েছে। একইভাবে অন্যরাও জানান, তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে ১২ টি চেক ডিজঅনারের মামলারও রেকর্ড রয়েছে। এর ফলে তারা সামাজিকভাবে হেয় এবং ঠিকমত ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারছেন না।
তবে অভিযোগকারী খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়ে ঢাকা ব্যাংক বগুড়া শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিজিওনাল ম্যানেজার বলেন, উল্লেখিত ঋণ গ্রহীতারা সবাই খেলাপী তারা ব্যাংকের সাথে কোনো সহযোগিতাই করেন না। নিয়মানুযায়ী তারা দরখাস্ত নিয়ে আসলে কেন তা নেয়া হবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন