বর্তমান সময়ে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ও কোয়ালিটি অব সার্ভিস এতোটাই খারাপ যে, ৪জি’র যায়গায় ৩জি পাওয়া দুষ্কর। এমতাবস্থায় বিটিআরসি ও সরকারের ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারলাম বিটিআরসি ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এ খবরে সবচাইতে খুশি হবার কথা আমাদের। কিন্তু খুশি না হয়ে এ ধরণের সিদ্ধান্তে আমরা আতঙ্কিত হচ্ছি। কারণ ৪জি চালুর সময় টেলিযোগাযোগের যে অবস্থা ছিল বর্তমানে তা নেই। ৪জি চালুর ১৭ মাস পার হলেও সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৪জি দূরে থাক ৩জি নিশ্চিত করা যায়নি। সেই সাথে বর্তমানে যোগ হয়েছে ৬৪ ভাগ মার্কেট দখলকারী গ্রামীণফোন ও রবি’র বিরুদ্ধে পাওনা নিয়ে ঝামেলা। বিটিআরসি তাদের ব্যান্ডউইথ ও এনওসি বন্ধ করার ফলে গ্রাহকরা কাক্সিক্ষত সেবা থেকে এমনিতেই বঞ্চিত।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে কোয়ালিটি অব সার্ভিস যদি মাপা হয় তাহলে দেখা যাবে যে কোন সময়ের চাইতে অনেক নি¤œমানের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা একদিকে পাওনা আদায়ের জন্য অপারেটর দুটি লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আবার অন্যদিকে ৫জি চালুর সিদ্ধান্ত নিতে যাচে। বিষয়টি এমন যে, যে ডালে বসে আছেন সে ডালই আপনি কাটছেন। এনওসি বন্ধের ফলে তারার আর নতুন করে স্পেকট্রাম ক্রয় করতে পারবে না। রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটক এখনও ৪জি চালু করতে পারেনি। গ্রাহকদের ৯০ শতাংশ এখনও ৪জি সেবা গ্রহণ করেননি। ৫জির ডিভাইস দেশে পর্যাপ্ত নয়, তাও আবার অতি উচ্চ মূল্যে। নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। অপারেটরদের এখন পর্যন্ত স্পেকট্রাম আছে ৩৫ মেগাহার্জ। অথচ ৫জিতে লাগবে প্রায় ১০০ মেগাহার্জ। এখন পর্যন্ত সবচাইতে বড় স্ট্রেক হোল্ডার গ্রাহকদের সাথে সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আলোচনা করেনি। এমতাবস্থায় যদি ৫জি চালু করা হয় তা হবে শুধু কাগজে কলমে। এটি একদিকে যেমন হাস্যকর অন্যদিকে গ্রাহকদের কাছে প্রতারণা ছাড়া কিছুই না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন