বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) প্রস্তাবিত নীতিমালা প্রণয়ন প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্বশাসনের পরিপন্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে প্রচলিত নীতিমালার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ দাবি করে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতি। গতকাল বুধবার দুপুরে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে দেড় শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে এম মাসুদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালার অসঙ্গতিগুলো ব্যাখা করে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, মেধাবী স্নাতকদের শিক্ষকতা পেশায় প্রবেশের পথ রুদ্ধ করা হলে প্রকৌশল শিক্ষার মানের অবনতি ঘটাবে। সেই সঙ্গে পিএইচডি ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এক বছরের সক্রিয় শিক্ষকতার যে বিধান রাখা হয়েছে তার ফলে বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের পর মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে প্রত্যাবর্তনে অনীহা তৈরী করবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চাকুরীরত শিক্ষকগণ যেন ভবিষ্যতে কোন অনভিপ্রেত বৈষম্যের স্বীকার না হন সে ব্যাপারেও কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রাখা হয়নি। উপরন্তু, ইউজিসি কর্তৃক প্রস্তাবিত এই নীতিমালায় প্রকৌশল শিক্ষার মান উন্নয়নে কোন রকম দিক নির্দেশনা নেই এবং শিক্ষকদের মর্যাদা, স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো, শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সুবিধার উল্লেখ নেই। এছাড়াও, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকগণের জন্যে চালুকৃত অগ্রীম বেতন বৃদ্ধি এবং অনুপার্জিত ইনক্রিমেন্ট ব্যবস্থা অনাকাঙ্খিতভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বাংলাদেশের সকল প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালাটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে প্রত্যাখান করছে বলে দাবি করেন এবং অগ্রীম বেতন বৃদ্ধি এবং অনুপার্জিত ইনক্রিমেন্ট দ্রæত পূনর্বহাল করার জোর দাবী জানায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন