শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

মাটির স্বাস্থ্য ও সাগরশস্য উন্নয়নে এফএও’র অনুদান

কৃষি উন্নয়ন ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহে অবদান রাখবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৮:৫৭ পিএম

মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়ন-পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ও দেশে সামুদিক শৈবাল চাষের (সাগরশস্য) অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে দুটি প্রকল্পের আওতায় অনুদান দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। অনুদানের পরিমাণ খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহে প্রকল্প দুটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ‘সাপোর্ট টু সিউইড কাল্টিভেশন, প্রসেসিং অ্যান্ড মার্কেটিং থ্রো অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাসিটি ডেভলপমেন্ট’ ও ‘সাসটেনয়েবল সয়েল ম্যানেজমেন্ট ফর নিউট্রিশন সেনসিটিভ এগ্রিকালচার ইন সাব-সাহারান আফ্রিকা অ্যান্ড সাউথ এশিয়া’ প্রকল্পের আওতায় অনুদান চুক্তিসই হয়। দুটি প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি ২১ লাখ টাকা অনুদান দেবে এফএও।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ ও এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন ।

সয়েল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় মাটির গুণাগুন বৃদ্ধিকরণে নানা ধরণের প্রযুক্তি শেয়ার করবে এফএও মাটির স্বাস্থ্য উন্নয়ন হলে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহও নিশ্চিত হবে প্রকল্পের আওতায়। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হবে। এগুলো কৃষি জমিতে প্রয়োগ হবে। মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধির জন্য সারা দেশে জরিপ করা হবে। এর মাধ্যমে মাটির স্বাস্থ্যগত অবস্থায় কোথাই কেমন তার একটা পরিষ্কার চিত্র উঠে আসবে। এর উপর ভিত্তি করে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। মাটির গুনগুণ বৃদ্ধি পেলে পুষ্টিকর খাদ্যের সরবরাহে ব্যপক উন্নয়ন হবে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা অনুদান দেবে এফএও। চলতি সময় থেকে ২০২১ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

অন্যদিকে ১৯টি উপকূলীয় জেলায় সামুদ্রিক শৈবাল চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাত করণে ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা অনুদান দেবে এফএও। দেশের ১৯ উপকূলীয় জেলা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্াস, বন্যা প্রবণতা বেশি। দারিদ্রতার প্রবণতা বেশি। এই উপকূলীয় জেলায় অর্থনৈতিক নতুন দ্বার উন্মোচন হতে পারে শৈবাল চাষে। বর্তমানে কিছু কিছু উপকূলীয় জেলায় শৈবাল চাষ হচ্ছে। পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে উন্নত বিশ্বে শৈবালের চাহিদা রয়েছে অনেক। এ সাগরশস্য থেকে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব।

 

পরিকল্পিত বাণিজ্যিকভাবে সামুদ্রিক শৈবাল চাষ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মাছের পাশাপাশি এ সামুদ্রিক শৈবাল চাষকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হতে পারে বাংলাদেশের অফুরান বøু-ইকোনমি। কার্যকরী উদ্যোগগ্রহণ করা হলে সামুদ্রিক শৈবালই হতে পারে আগামী দিনের পুষ্টির ভান্ডার। এফএও’র অনুদানে শৈবাল চাষ বৃদ্ধিসহ বাজারজাতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। চাষকৃত ও সংগৃহীত এসব শৈবাল শুকিয়ে ও প্রক্রিয়াজতকরণ কিভাবে চীনসহ নানা দেশে রফতানি করতে প্রকল্পটি অবদান রাখবে।


ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, এফএও কতো ডলার অনুদান দিচ্ছে এটা মূখ্য বিষয় নয়। তারা (এফএও) উন্নত প্রযুক্তি আমাদের কাছে এনে দিচ্ছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে। তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার কৃষিখাতে অনেক উন্নয়ন বয়ে আনবে। এটা কৃষিখাতের জন্য জরুরি। প্রকল্প দুটি একদিকে কৃষি জমির স্বাস্থ্যগুণ বৃদ্ধি করবে অন্যদিকে পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধি করবে। এসডিজি’র অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সরাসরি অবদান রাখবে প্রকল্প দুটি।

ইআরডি সচিব বলেন, বাংলাদেশে ‘সামুদ্রিক শৈবাল’ একটি গুরুত্বপূর্ণ জলজ সম্পদ হিসেবে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সামুদ্রিক শৈবাল চাষে উপকূলবাসীর আর্থিক সচ্ছলতার নতুন পথও উন্মুক্ত হবে। সামুদ্রিক শৈবালই হতে পারে আগামী দিনের পুষ্টির ভান্ডার। পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ বৃদ্ধিতে প্রকল্প দুটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন