আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়ে, তার নাম ভাঙিয়ে রাজনীতির দোকান খুলে বসেছে। এমনকি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দিয়ে দোকান খুলেছে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নাম-ছবি ব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক দোকান খোলা যাবে না বলে নির্দেশ দেন তিনি।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাঁতি লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস স্মরণে আলোচনা সভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে রাজনীতির দোকান খোলা যাবে না। ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, যারা বেঈমানি করে, যারা ঘাতক, তাদের কখনোই স্বাভাবিক মৃত্যু হয় না।
বিএনপি সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, ভোটের রাজনীতিতে বিএনপি ক্রমেই আরো সংকুচিত হচ্ছে। দলটি এখন অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে এবং ভবিষ্যৎকে বিপন্ন মনে করে দলের নেতারা আবোল-তাবোল বলছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দল জাতির পিতার খুনের সঙ্গে জড়িত। জাতির পিতার কন্যা বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের কান্ডারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। এই সত্য জনগণের বিবেকের আদালতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সে কারণেই বিএনপি অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগছে এবং ভবিষ্যৎকে বিপন্ন মনে করে দলটির নেতারা আবোল-তাবোল কথা বলছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খুন আর হত্যার রাজনীতিতে বিএনপির হাত রক্তে রঞ্জিত। তারা বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে জাতির পিতাকে মুছে দেয়ার চেষ্টা কম করেনি। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে তারা যতই মুছে ফেলতে চেয়েছে ততই তারাই নিজেরা মুছে গেছে, সংকুচিত হয়েছে। আজকের তারেক রহমানের দম্ভোক্তি, কারণ ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড তিনি আর জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড।
তাঁতি লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শওকত আলীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, তাঁতি লীগের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এডিবির অর্থায়নে চার মহাসড়ক
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট, রংপুর-বাংলাবান্ধা, রংপুর-বুড়িমারী এবং ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা হবে। মহাসড়কগুলোর প্রতিটিতে চার লেনের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে এডিবি এসব জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়নে অর্থায়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মনমোহন পারকাশ এ কথা জানান। মনমোহন জানান, ইতোমধ্যে ফরিদপুর-বরিশাল এবং রংপুর-বুড়িমারী মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এডিবির অর্থায়নে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা এবং হাটিকুমরুল থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ ছাড়াও কক্সবাজার-উখিয়া- টেকনাফ সড়ক প্রশস্তের কাজ এগিয়ে চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন