বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

কাশ্মীর ও আসামের এনআরসি ইস্যুতে আমরা উদ্বিগ্ন: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১০:১৩ এএম

সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ বলেছেন, নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান। তবে প্রত্যাবাসনের সঙ্গে সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টিও সমাধান হওয়া জরুরি। তা না হলে এ সঙ্কট আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। নিজেদের অনেক সমস্যা থাকার পরও লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ যে মানবিকতা দেখিয়েছে তার জন্য ঢাকার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ছাড়াও তিনি নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, কেবল মাত্র অঙ্গীকার নয়, রোহিঙ্গা সংকটের বাস্তবসম্মত ও কার্যকর সমাধানে দৃশ্যমান পদক্ষেপ মিয়ানমানকেই নিতে হবে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সেখানে তিনি ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, মুসলিম বিশ্বের সংকট, কাশ্মীর ও আসামের এনআরসিইস্যুসহ সম-সমায়িক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেন।
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে বছরের পর বছর ধরে লাখো আফগান শরনার্থীকে নিয়ে বিপাকে থাকা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের বোঝা বিশ্ববাসী সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নেয়া জরুরি।
ইরান শরানার্থী সংকট মোকাবিলায় প্রতি বছর প্রায় ১০ বিলিয়ল ডলার ব্যয় করে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক ওই শরনার্থীদের সব ভূমে প্রত্যাবাসন এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত বাংলাদেশের পাশে আরও শক্ত করে দাঁড়ানো। কাশ্মীর প্রশ্নে ইরানের অবস্থান সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সেখানে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখতে চাই না। ভারত আমাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বন্ধু। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। কাশ্মীর এবং আসামের এনআরসি ইস্যু দুই ইস্যুতে ইরান উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বন্ধু হিসাবে এ দুই ইস্যুতে আমরা আরও বেশি ডায়ালগ দেখতে চাই। আমরা মনে করি যে কোন সমস্যায় সংলাপ সমাধান এনে দিতে পারে।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটাকে আমরা অবরোধ বলি না। এটা তাদের ‘বাড়াবাড়ি’ বলেই মনে করি। যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণ বন্ধের অনুরোধও জানান তিনি। তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সঙ্গে তেহরানের কোন ধরণের দ্বিপক্ষীয় সংলাপ বা আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেও মধ্যপ্রাচ্য সংকট উত্তরণে ইরান যে কোন সময় যেকোন স্থানে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানান জাভাদ জারিফ। তিনি এ সংকটের জন্য সউদী আরব এবং তার মিত্রদের দোষারোপ করেন। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সকালের বৈঠকেও আমি বলেছি, মুসলিম বিশ্বের যে কোন সংকটের সমাধানে ইরান আন্তরিক। আমরা আলোচনার জন্য তৈরি। মন্ত্রী সউদী আরবসহ বিভিন্ন দেশের অস্ত্র কেনা সংক্রান্ত ব্যয়ের পরিসংখ্যান নিয়ে বলেন, কোন দেশ যদি মনে করে অস্ত্র তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তবে ভুল করবে। আলোচনা এবং শান্তির মধ্যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
রেজাউল করিম মুকুল ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:০৭ এএম says : 0
India does not accept the two-nation theory and considers that Kashmir, despite being a Muslim-majority state, is in many ways an "integral part" of secular India. আমেরিকার তৎকালিন এ্যামবাসাডার Loy Henderson গণভোটে ভারতের অনাগ্রহ দেখে তার সরকারকে এই বিরোধ থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকার পরামর্শ দেন এবং বিষয়টি কমনওয়েল্থ ভুক্ত জাতিগুলোর কাছে রেফার করতে বলেন। কারণ এরই মধ্যে কাশ্মির একটি অসমাধানযোগ্য স্হায়ী বিরোধ কলহের স্হান হিসেবে চিহ্নিত হয় এবং উভয় দেশে তাদের সিমান্তে স্হায়ীভাবে সৈন্য মোতায়েন করে রাখতে শুরু করেন।। যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও বলা হয় যদি ভারত পাকিস্হান নিজেরা নিজেদের সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হন তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আর্বিট্রেশন মানতে হবে। গণভোট পাকিস্হান মেনে নিলেও নেহেরুর ভাষ্য ছিলো অদ্ভুত এবং গোয়ার্তুমিতে ভরা।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন